বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের নবীন শিল্পী শামীমকে নতুন মোবাইল উপহার দিলেন বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানবতার ফেরিওয়ালা খান সেলিম রহমান। নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে গলাচিপায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল পালিত। গলাচিপায় দশম শ্রেণির ছাত্র আমরানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার আজ (৩০ আগস্ট ২০২৫) এশিয়া ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে  নবীনগরে নাটঘর ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত । জামালপুরে অস্ত্রসহ মেহেরাব নামে এক যুবক গ্রেফতার৷  দালালমুক্ত ডিবিএলএম হাসপাতাল বর্হিবিভাগ করার দাবীতে মানববন্ধন উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি সহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার জলঢাকা নর সুন্দর যুব কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ ইং “পিআর পদ্ধতি জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত হবে”- আমিনুল হক

সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত ৭ টি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে

 

আজহারুল ইসলাম সাদী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর ওপর নির্মিত সাতটি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে নদীতে, ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি ব্রিজ।
নির্মাণের কয়েক বছর না যেতেই এসব ব্রিজ ঝুকির মধ্যে পড়েছে।

মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ব্রিজ সাতটি ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষের ।

সাতক্ষীরা জেলা সদরে যেতে মাত্র ৪-১০ কিলোমিটার রাস্তার পরিবর্তে তাদের পাড়ি দিতে হচ্ছে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময় ও খরচও বেড়েছে স্থানীয়দের। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ।

ভেঙে পড়া ব্রিজগুলো হলো, বাকড়া ব্রিজ, টিকেট ব্রিজ, হিজলডাঙ্গা ব্রিজ, চরগোবিন্দপুর ব্রিজ, শিমুলবাড়িয়া ব্রিজ, ডাড়ার খাল ব্রিজ ও এল্লারচর ব্রিজ।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মিত ব্রিজগুলোর দৈর্ঘ্য ১০ মিটার থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনটি ভেঙে নদীর মাঝখানে পড়ে আছে। কোনটির এক পাশ পাড়ে ঝুলছে, তো অপর পাশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। কোনটির একপাশে বাঁশ বেধে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ, কোনটির উপর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাকো।

ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় যখন এসব ব্রিজ নির্মাণ করে, তখন ভরাট হয়ে সরু খালে পরিণত হয়েছিল মরিচ্চাপ নদী। এরপর ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মরিচ্চাপ নদী পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। এতে নদী ফিরে পায় পুরনো রূপ, বেড়ে যায় প্রস্থ। চাপ বাড়ে জোয়ারের পানিরও। এতে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান বলেন, স্থান ভেদে মরিচ্চাপ নদীর প্রস্থ ৫০-৭০ মিটার। কিন্তু এ নদীর উপর নির্মিত ব্রিজগুলো সর্বোচ্চ ২০ মিটার হতে পারে। এতো বড় নদীর উপর এমন ছোট ছোট ব্রিজ টিকবে কিভাবে?

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন নদী বা খালে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করলে হলে এনওসি নিতে হয়, যা এসব ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি। ব্রিজগুলো যখন নির্মাণ হয়েছে, তখন মরিচ্চাপ নদী ছিল সরু খালের মতো। আমরা নদীর সীমানা অনুযায়ী খনন করেছি। কিন্তু ব্রিজগুলো নদীর সীমানা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি।

পাউবোর এই কর্মকর্তার বক্তব্য মিলে যায় একই নদীর উপর এলজিইডি নির্মিত ব্যাংদহা ব্রিজের সাথে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২২ সালে নির্মিত এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার। নদী খননের পর অন্যান্য ব্রিজ ভেঙে পড়লেও ব্যাংদহা ব্রিজ ঠাই দাড়িয়ে আছে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন, ধসে পড়া সাতটি ব্রিজের মধ্যে চারটি এলজিইডির মাধ্যমে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা