রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‎অর্থসহ ৫০০ কপি কুরআন বিতরণ ঘোড়ার গাড়িতে ঝাঁকঝমক বিদায় — প্রিয় শিক্ষক আনিসুর রহমানকে ময়মনসিংহের অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে —হাসান মামুন জলঢাকায় ‘আটাশ অক্টোবর’ স্মরণে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চট্টগ্রামের রাউজান থানার নওয়াপাড়া এলাকায় র‍্যাব-৭ এর বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। অভিযানে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আশুগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাচালানকৃত বিদেশী সিগারেট উদ্ধার; ০৩ চোরাচালানী গ্রেফতার: বগুড়া শেরপুর নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে ১,৫০,০০০/- (দেড় লক্ষ টাকা) জরিমানা… মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭ দিন পর হাত–গলা বাঁধা শিশুর লাশ উদ্ধার জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ কর্তৃক ০৪(চার) কেজি গাঁজা উদ্ধার; ০২ মাদক কারবারী গ্রেফতার: ধোবাউড়ায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদনহীন ড্রিংকিং ওয়াটার কারখানার বেপরোয়া বাণিজ্য

মোঃ আজগার আলী, স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলায় “ড্রিংকিং ওয়াটার” নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পানির গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ।
শহরজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশের নেই কোনো ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআই অনুমোদন বা স্বাস্থ্য সনদ। বহু প্রতিষ্ঠানে সাইনবোর্ড নেই, আবার অনেক পানির জারের গায়ে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখও উল্লেখ করা হয় না। এভাবে জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণা করা হচ্ছে প্রতিদিন। শহরের প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও বাজারে এই পানির জার পাওয়া যাচ্ছে, যার অধিকাংশই নিম্নমানের এবং বিএসটিআই অনুমোদনহীন। ৫ টাকা, ১০ টাকা কিংবা ২০ টাকায় বিক্রি হওয়া এসব ২০ লিটারের পানির জারগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, রেস্টুরেন্ট এমনকি নামকরা ক্লিনিকেও।
বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন চায়ের দোকানে এসব নিম্নমানের পানির জারই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। চায়ের দোকানগুলোতে দিনে হাজারো মানুষ পানি পান করছে অথচ তারা জানতেই পারছে না কোন উৎস থেকে পানি আসছে বা তা নিরাপদ কি না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদনপ্রাপ্ত ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। এগুলো হলো:
১. রিমঝিম ড্রিংকিং ওয়াটার
২. তাহা ড্রিংকিং ওয়াটার
৩. হক ড্রিংকিং ওয়াটার
৪. ঋশিল্পী ড্রিংকিং ওয়াটার
৫. উত্তোরণ ড্রিংকিং ওয়াটার
এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদনহীনভাবে বাজারজাত করছে নিম্নমানের পানি। এর মধ্যে “অনির্বাণ ড্রিংকিং ওয়াটার” নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই’র অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বোতলের গায়ে অবৈধভাবে বিএসটিআই লোগো ব্যবহার করছে, যা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
জেলার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খুচরা দোকানি এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন এই সস্তা ড্রিংকিং ওয়াটার ব্যবহার করছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু তারা জানেন না, এই পানির মাধ্যমে তারা নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে পড়ছেন—যেমন জন্ডিস, টাইফয়েড, পেটের পীড়া এবং ত্বকের রোগ।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খুব শিগগিরই এসব অনুমোদনহীন পানির কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য বড় ধরণের সংকটে পড়বে বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সচেতন মহল।
সাতক্ষীরার নাগরিকরা চান, জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে একটি শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা গড়ে তুলুক এবং অবৈধ পানির কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমে প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা