সংবাদাতা মোঃ রুবেল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টেংকেরপাড়স্থ চুন্টা ফার্মেসি থেকে ক্রয় করা মেয়াদোত্তীর্ণ ‘প্রিনোভ্যাক্স ২৩’ ইনজেকশন পুশ করার পর জুলেখা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। জুলেখা খাতুনের গ্রামের বাড়ি আখাউড়া উপজেলার মুগরা গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টেংকেরপাড়স্থ স্ট্যান্ডার্ড হসপিটালের ফার্মেসিতে কর্মরত তুষার আহমেদ নামে এক কিশোর, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাজহারুল ইসলাম সোহেলের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল সংলগ্ন চুন্টা ফার্মেসি থেকে ‘প্রিনোভ্যাক্স ২৩’ ইনজেকশনটি ক্রয় করে আনেন। এরপর স্ট্যান্ডার্ড হসপিটালে কর্মরত নার্স লিপিয়া আক্তার ইনজেকশনটি রোগীর শরীরে পুশ করেন।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ইনজেকশনের মোড়কে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ২০২৫ সালের মে মাস লেখা থাকলেও, ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রি করেছে। ইনজেকশনটি পুশ করার সাথে সাথেই বৃদ্ধা জুলেখা খাতুন চোখ বন্ধ করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রোগীর ছেলে ও মেয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, স্ট্যান্ডার্ড হসপিটালের নার্স লিপি আক্তার তাদের মায়ের শরীরে এই মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশনটি পুশ করেছেন। তারা এই অপচিকিৎসার বিচার দাবি করেছেন এবং বিচার না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই ঘটনায় একদিকে যেমন ফার্মেসির মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অনৈতিকতা স্পষ্ট হয়েছে, তেমনই হাসপাতালের নার্স কর্তৃক মেয়াদ যাচাই না করে ইনজেকশন পুশ করার বিষয়টিও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।