সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জাজিরায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার: এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে গলাচিপা প্রেসক্লাব সভাপতি সমিত কুমার মলয় দত্তের স্মরণে ভোজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মনিপুরীপাড়ায় জনতার মুখোমুখি আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার: স্থানীয় সমস্যার সমাধানে আশ্বাস হিন্দু ধর্মালম্বী ৩০০ নারীর মাঝে শাড়ী বিতরণ করলেন নুরুল ইসলাম নয়ন শাহজাদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে সচেতনতার আলো ছড়ালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান — “পরিষ্কার হাতই সুস্থ জীবনের প্রথম শর্ত” কালীগঞ্জ উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা চাই-নবাগত ইউএনও রেজওয়ানা নাহিদ আমতলীতে মহিষ চোর ধরতে সাহায্যকারীকে আসামী করে থানায় প্রেরন। জলঢাকায় ফুটবল প্রীতি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়ই ঝিনাইদহে সাংবাদিককে কেয়ামতে পাঠানোর হুমকি দিলেন এনজিও মালিক ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সাপের কামড়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আমতলীতে মহিষ চোর ধরতে সাহায্যকারীকে আসামী করে থানায় প্রেরন।

স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ নেছার উদ্দিন

সম্প্রতি  ভোলা দক্ষিণ আইচা থেকে চুরি করে আনা সাতটি মহিষ বরগুনা জেলার আমতলী থানার পশ্চিম চিলা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।তবে দুজন আটক হলেও একজন মিথ্যে মামলার শিকার হয়ে আমি হয়েছেন এমনটাই অভিযোগ  করেছেন অজ্ঞাত মামলার আসামী আলম মুন্সির পরিবার।
থানা সুত্রে জানাগেছে, আটকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ কামাল হাওলাদার (৩৫)পিতা: চানমিয়া হাওলাদার সাং- পশ্চিম চিলা, থানা আমতলী জেলা বরগুনা। মোঃ আলম মুন্সি (৪৫)পিতা: আব্দুল হাজী মালেক মুন্সী সাং- গোলবুনিয়া,ইউনিয়ন চাম্পাপুর, থানা: কলাপাড়া জেলা: পটুয়াখালী।
জানা যায়, গত শনিবার মোঃ কামাল হাওলাদার (৩৫)পিতা: চানমিয়া হাওলাদার সাং- পশ্চিম চিলা,থানা আমতলী জেলা বরগুনা। বিক্রিতা মো: হাফিজুর রহমান, পিতা:রাজ্জাক মাতব্বর সাং পক্ষিয়া, উপজেলা গলাচিপা, জেলা:পটুয়াখালী কাছ থেকে মোঃ আলম মুন্সি (৪৫)পিতা: আব্দুল হাজী মালেক মুন্সী সাং- গোলবুনিয়া,ইউনিয়ন চাম্পাপুর, থানা: কলাপাড়া জেলা: পটুয়াখালী এর মাধ্যমে ৭টি মহিষ ক্রয় করে যার মূল্য ৪লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে চুরি মামলার বাদী মো: মিজানুর রহমান বলেন,আমি বাড়ীতে থাকিয়া দক্ষিণ আইচা থানাধীন ঢালচর -ইউনিয়নের চর আলম বাগানে মহিষ পালন করি। উপরোক্ত সাক্ষীরা আমার সাথে দক্ষিণ আইচা থানাধীন বিভিন্ন চরে মহিষ রাখিয়া লালন পালন করে। আমি ঢালুর ইউনিয়নের চর আলম বাগানে ৩০টি মহিষ রাখিয়া লালন পালন করিয়া আসিতেছিলাম। প্রতিদিনের ন্যায় আমি ইং ২৭/০৯/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকার সময় আমার মহিষ দেখাশোনা করিয়া বাগানে মহিষ রাখিয়া নৌকায় করে বাড়ীতে চলে আসি। ইং ২৮/০৯/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় আম চর আলম বাগানে মহিষ দেখিতে গেলে আমার রেখে আসা মহিষের মধ্যে হইতে ০৪টি মহিষ খুজে পাই নি। আমার হারানে মহিষের বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানা, ভোলায় জিডি নং-২১৭. তারিখ-০৭/১০/২০২৫ ইং একটি হারানো জিডি করি। পরবর্তীতে আমার হারানো মহিয খোজাখুজির এক পর্যায়ে উপরোক্ত ০২টি মহিষ, যাহা সাক্ষির আইচা থানার জিডি নং-১০০১, তারিখ-২৯/০৯/২০২৫ ইং, ০২নং সাক্ষী সফিকুল ইসলাম এর ০১টি মহিষ, যাহা দক্ষিণ আইচা থানার জিডি নং-২১৩, তারিখ-০৭/১০/২০২৫ ইং, ০৩নং সাক্ষী মোঃ সুমন এর ০৪টি মহিষ, যাহা দক্ষিণ আইচা থানার জিডি নং-১০৫, তারিখ-০৪/১০/২০২৫ইং, ০৪ নং সাক্ষী জয়নাল আবেদীন এর ০১টি মহিষ, যাহা দক্ষিণ আইচা থানার জিডি নং-২২৫, তারিখ-০৭/১০/২০২৫ ইং, আমার চোরাই যাওয়া ০৪টি মহিষের আনুমানিক বাজার মূল্য-১,৬০,০০০/- (এক লক্ষ ঘাট হাজার টাকা)। আমার ধারণা ইং ২৭/০৯/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকা হইতে ২৮/০৯/২০২৫ ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় চর আলম বাগান হইতেঅজ্ঞাতনামা চোর/চোরেবা আমার মহিষ চুরি করিয়া নৌকাতে উঠাইয়া আমতলী থানাধীন পূর্ব চিলা বিশ্বাসের হাট আমতলীর উদ্দেশ্যে নিয় যায় খোজাখুজির জন্য গত ইং ০৮/১০/২০২৫ ইং তারিখ বরগুনা জেলার আমতলী থানা দিন পূর্ব জেলা বিশ্বাসের হাটে উপস্থিত হইলে আমরা চুরি যাওয়া মহিষগুলো দেখিতে পাই। আমি আমার চোরাই হইয়া যাওয়া এই মহিষগুলা দেখিয়া স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের  সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসি।
উদ্ধারকৃত মহিষের অন্য মালিক মো:মনির হাওলাদার  জানান,আমাদের চোরা মহিষগুলো খুঁজে পাওয়ার জন্য আলম মুন্সী সার্বিক সহযোগিতা করেছেন এবং আলম মুন্সির কারণে আমার মহিষগুলো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে।উনি কিভাবে এ মামলা আসামি হল তা আমার জানা নেই।

অপর দিকে আটককৃত আলম মুন্সি (দালাল) স্বীকার করেন এবং  সে হাফিজুর মাদবর এর কাছ থেকে মহিষগুলো  কামাল হাওলাদারের কাছে বিক্রি করিয়ে দিয়েছেন।এ কারনে   পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
জানা গেছে, আলম মুন্সী মহিষ কেনাবেচার মিডিয়াকারী বা দালাল।তবে আলম মুন্সির  বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে  গ্রেফতার করা হয়েছে সে অভিযোগ মনগড়া ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আলম মুন্সির পরিবার। আরো জানা গেছে,আলম মহিষের মিডিয়া করে মহিষ বিক্রেতা মো: হাফিজুর মাতুব্বরের কাছ থেকে  মো: কামাল হাং যে মহিষগুলো ক্রয় করেছেন এবিষয়টি সম্পুর্ন আলম মুন্সির মাধ্যমে  ক্রয় বিক্রয় হয়। লিখেছ মহিষ চোর মামলার বাদী মিজানুর রহমান মহিষের সন্ধান করতে গিয়ে একপর্যায়ে আলম মুন্সির মাধ্যমে জানতে পারে  মো:হাফিজুর মাতব্বর কালাম হাওলাদারের কাছে মহিষ বিক্রি করেছেন।এ বিষয়ে আরো জানাগেছে, প্রকৃত মহিষ মালিক মোঃ মিজানুর রহমানকে মহিষ উদ্ধার কাজে সাহায্য করেও বিপাকে পরেছেন আলম মুন্সী। মহিষ উদ্ধার ও চোর সনাক্ত করতে  নানা সহযোগিতা করেও চোরের খাতায় নাম লেখালেন আলম মুন্সী।
আরো জানাগেছে,  আলম মুন্সি মহিষ মালিকদের নানান ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার পরেও অজ্ঞাত এ চুরি মামলায় আসামি হয়েছেন এ বিষয়ে আলম মুন্সির পরিবারের দাবী, আলম মুনশির  বিরুদ্ধে  মিথ্যে মামলা ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পান এবং মিথ্যে ও তথ্যের কারণে আলম মুন্সির মামলায়  আসামি করা হয়েছে। এ মিথ্যে মামলা থেকে যেন পরিত্রাণ পায় এমনটাই দাবি করেছেন আলম মুন্সির পরিবার।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)দেওয়ান জগলুল হাসান জানান,আটককৃতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এ হারানো মহিষের বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানা, ভোলায় দুটি  মামলা করেন। তাহার নং  জিডি নং-২১৭. তারিখ-০৭/১০/২০২৫।  থানার জিডি নং-২১৩,তারিখ-০৭/১০/২০২৫ ইং


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা