খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিবিসি বাংলায় দেওয়া ঐতিহাসিক সাক্ষাৎকার ঘিরে পটুয়াখালীর গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। রাজনীতি সচেতন মানুষ থেকে শুরু করে তরুণ সমাজ—সবাই এখন আলোচনা করছেন এই সাক্ষাৎকার নিয়ে।
গত ৬ অক্টোবর বিবিসি বাংলায় প্রচারিত ওই সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্বাচন, ও জনগণের অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন। তাঁর এই বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় জনগণ।
গলাচিপা ও দশমিনার বিভিন্ন হাট-বাজার, মোড় ও চায়ের দোকানে চলছে সাক্ষাৎকারটি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা। অনেক স্থানে স্থানীয় যুবকরা প্রজেক্টর ও বড় পর্দায় অনুষ্ঠানটি প্রদর্শনের আয়োজন করেছেন। সন্ধ্যা নামলেই বাজারে বাজারে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক দর্শকরা। কেউ চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন, কেউবা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন তারেক রহমানের প্রতিটি বক্তব্য।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাধারণ মানুষ বলছেন, দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন পর বিএনপি নেতার এমন খোলামেলা সাক্ষাৎকার সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে আলোচনার ঢেউ তুলেছে। একাধিক দোকানদার জানান, “এমন আগ্রহ আগে কখনো দেখিনি। মানুষ সত্যিই জানতে চায় তারেক রহমান কী বলছেন।”
গলাচিপার উলানিয়া, বোয়ালিয়া, চরকাজল, পানপট্টি, আমখোলা, এবং দশমিনার বেতাগী, বহরমপুর ও বাশবুনিয়া বাজার এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এই সাক্ষাৎকার। অনেকেই বলছেন, “এই সাক্ষাৎকার দেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।”
জনগণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ, তরুণদের অংশগ্রহণ, ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক সচেতনতা—সব মিলিয়ে গলাচিপা ও দশমিনার এই উচ্ছ্বাস এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।