সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রংধনু থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খলনায়ক’-এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন মিরপুর বিআরটিএ আনসারের পৃথক অভিযানে ৫ জন দালাল আটক সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা, প্রাণনাশের হুমকি প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এনসিপি নেতারা বিএনপিকে দায় দিচ্ছে – ছাত্রদল ভোলা মনপুরায় হাজির হাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন গাজীপুরে ভূমিহীনদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন: ৩০৯৫ পরিবারকে জমি প্রদানের হাই কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি সাফল্যগাথা XFortune Tours & Travels ৬ বছরে যাত্রা পথে শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা গৃহায়নে অসংখ্য প্লট বেদখল; যা সরকারি রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনাই বেশি? বামনায় যুবদল নেতার চেক জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ: সিসিটিভিতে শনাক্ত

গৃহায়নে অসংখ্য প্লট বেদখল; যা সরকারি রাজস্ব হারানোর সম্ভাবনাই বেশি?

 

ফয়জুল্লাহ স্বাধীন,স্টাফ রিপোর্টার :
গৃহায়ন প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে তার একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে মোঃ শাহিনুর রহমানকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়  পরবর্তীতে অন্য ওয়ারিশগণ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগ করলে তা উপপরিচালকের পর্যায়ে থেকে তদন্ত সাপেক্ষে মূল ওয়ারিশনামা সংশোধন বরাদ্দ প্রদান করা হয়  ঢাকার লালমাটিয়া সি ব্লকের ৮/১২ নং প্লটটির নথিতে দেখা যায়  অত্র অফিস থেকে ৭ জনকে ওয়ারিশ মুলে নামজারি  আদেশ প্রদান করা হয় ২০১৩ সালে এবং ২০২৪ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা দপ্তর হতে মোট ৭টি প্লট ওয়ারিশের মূল নামজারি করে দেওয়া হয়।অথচ মূল নথি প্রধান কার্যালয়  কোন ফ্লাট বন্ধক আছে কিনা অন্য কারো কাছে পূর্বে বিকৃত কিনা কদম আছে কিনা সেই ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কোন তথ্য চাহিত পত্র প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত নথিতে নেই। ২০১৯ সালের ৭ ই মে তৎকালীন সদস্য (ভূসব্য)  মহোদয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত পত্রে বুঝা যায়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রদত্ত হস্তান্তর অনুমতি ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় কর্তৃক কোন নামজারি কার্যক্রম সম্পাদন হবে না অর্থাৎ হস্তান্তরের অনুমতি প্রধান কার্যালয় থেকেই গ্রহণ করতে হবে। এই হিসেবে ২(ক)তে উল্লেখিত কার্যক্রম কার্যক্রম যা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্তৃক গৃহীত হয়েছে তা সম্পূর্ণ অফিস আদেশ বহির্ভূত। কারণ ওয়ারিশ মূলে নামজারি ও সাধারণ নামজারির অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও  ৭/৫/২০১৯ তারিখে তৎকালীন সদস্য স্বাক্ষরিত পত্রে দেখা যায় ওয়ারিশ নামজারির অনাপত্তি পত্র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে সম্পাদা হতে পারবে তথাপি তার পূর্বের অনুচ্ছেদেই লেখা আছে হস্তান্তর অনুমতি পত্র জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রদান করতে হবে পূর্বে এবং এখনো ঢাকার বাইরে কোন নাম জানতে জাতীয় গৃহান কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় কোন নেওয়ার নজির নেই   স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কার্যালয়ে হাজিরা নেওয়া হয়। ওয়ারিশ মূলে নামজারি নির্বাহী প্রকৌশলী দপ্তরে

সম্পাদিত হলে যেহেতু কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে মূল নথি  সংরক্ষিত থাকে। দায়মুক্ত বা সরকারি পাওনা পরিশোধের৷ বিষয়টি জিজ্ঞাসিত থেকেই যায়। কারণ দায়মুক্ত তথা সরকারি পাওনা ব্যতীত নাম তৈরি হলে সেই প্লট উন্নত হস্তান্তর করা সহজ এবং সেই ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতা তৈরির পাশাপাশি সরকারের  রাজ্জস সম্ভবনাই বেশি৷ “চট্টগ্রামস্থ হালিশহর হাউসিং এসিস্টের ব্লক -বি, রোড -০১,লেইন -০৫,নিম্নমান বাড়ি নং -২২,জমির পরিমাণ ১৩৯ বর্গগজ (সম্মুখস্থ রাস্তা ৩০ ফুট) ” এর একটি নথি যা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়( চট্টগ্রাম) এ কিছু প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি মে মাস ২০২৪ এর।

সেখানের কোনটিতে কোন মামলার তথ্য না থাকলেও সেগুনবাগিচাস্থ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তার নিকট তথ্য চান। সেই প্রেক্ষিতে আইন কর্মকর্তা ১৪/৮/২৪ এ জানান আইন কোষের রেকর্ডে বর্তমানে মামলা নেই। হবে সেবা প্রার্থীকে হয়রানি করা হচ্ছে।

৫/১১/২০২৩ সালে নামজারির  অনাপত্তি  প্রদানের ক্ষমতার অপব্যবহারে অবশেষে চূড়ান্ত পত্র জারি হয় ২০/২/২৫ তারিখে অর্থাৎ প্রায় ১বছর ৩মাস লেগেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর সেবা গ্রহীতা  আবেদন প্রদান করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তার দপ্তরে। সেখান থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে নির্মাণ প্রতিবেদনের জন্য পাঠান SO (সুপারিডেন্ট অফিসার) এর কাছে। SO থেকে তা যায় SDE ( সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে)। SDE  তা পাঠান Exen ( নির্বাহী প্রকৌশলীর)  কাছে।  এক্স -এন  তা আবার পাঠান SE  (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর) কাছে। SE এর প্রতিবেদন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার প্রতিবেদন  একত্রীকরন করে নথিটি এক্স- এন  কাছে যায়।৷  এক্স-এন তা আবার সহকারি প্রকৌশলীর কাছে পাঠান। সরকারি প্রকৌশলী নথি স্বাক্ষর করে তা আবার এক্স- এন এর কাছে পাঠালে এক্স- এন তা অনুমোদন করলে নথি প্রশাসনিক কর্মকর্তার নিকট প্রেরিত হয় এবং চূড়ান্ত পত্র জারি হয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে ধাপ ও বিশেষ করে শেষের দিকে নথি ৫টি  ধাপ পার হয় অর্থাৎ প্রায় প্রতিটি টেবিল ঘুরে। এতে সেবা গ্রহীতার চরম হয়রানি ও সময় অপচয় হয় মর্মে জানা যায়।

এছাড়াও নির্বাহী প্রকৌশলী গন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে খালি প্লটেরও নির্মাণ প্রতিবেদন গ্রহণ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা