বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির টানাপোড়েন : নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের যাচাই দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার প্রকাশক, আছিয়া রহমানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাতৃজগত পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও অশুভ সংকেত? জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন মাদারগঞ্জে সুখনগরী নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি কবি সংসদ বাংলাদেশের ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ৩১ দফার বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে ………………………………. লায়ন মো. হারুনুর রশিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও স্কফ সিরাপ উদ্ধার, দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার আখাউড়ায় পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষপান করে গৃহবধূর মৃত্যু ধামইরহাট বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন দুর্গম হারাঙ্গীপাড়ায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা আখাউড়ায় নবাগত ইউএনও তাপসী রাবেয়ার সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় ভিসা প্রতারণা মামলা আসামীরা সৈয়দপুরে শ্রমিক-ভ্যানচালক বিপাকে পরিবারের ভুক্তভোগীরা ঝিনাইদহে গনসংযোগে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলেই ধোলাই করা হবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সিমেন্ট দিয়ে ফলক ঢেকে দেওয়ার ঘটনায় সরকারি মাহ্তাব উদ্দিন কলেজ ছাত্রশিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ কক্সবাজার জেলায় উখিয়া সদর স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ দোকান পোড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ধামরাইয়ে প্রতারণার নাটক: পাঁচ স্বামী পেরিয়ে ষষ্ঠ স্বামীকেও সর্বস্বান্ত করলেন ‘চতুর নারী’ আমেনা বেগম! জলঢাকায় জামায়াতের স্মরণকালের বৃহত্তম মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা। আটঘরিয়ার শিক্ষকের বেত্রাঘাত সহ্য করতে না পেরে বিষপানে শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরের শ্রীপুরের বিল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার খুলনায় দুই সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ।

প্রথম দিনেই টাইফয়েড টিকা পেল ১০ লাখ শিশু

স্টাফ রিপোর্টার: সৈয়দ উসামা বিন শিহাব

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে সারাদেশে শুরু হলো জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি — শিশুদের রোগ প্রতিরোধে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে টাইফয়েড প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির প্রথম দিনেই সারা দেশে প্রায় ১০ লাখ শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সকাল থেকে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদের আঙিনা ও বিভিন্ন পাবলিক স্থানে অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সকাল থেকেই শিশুদের নিয়ে অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সুশৃঙ্খলভাবে টিকা প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের আওতায় আনতে হবে।এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশু ধীরে ধীরে টিকার সুরক্ষা পাবে। প্রথম ধাপে শহর ও জেলা পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পরবর্তীতে এটি পর্যায়ক্রমে প্রত্যন্ত গ্রাম ও দুর্গম এলাকায়ও পৌঁছে দেওয়া হবে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো শিশুই যেন বাদ না যায়, সে জন্য হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে।
টাইফয়েড একটি পানিবাহিত সংক্রামক রোগ যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে সহজে ছড়ায়। এটি শিশুদের মধ্যে দ্রুত সংক্রমণ ঘটিয়ে মারাত্মক জটিলতা তৈরি করতে পারে। প্রতিবছর দেশে বিপুল সংখ্যক শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। এ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা ব্যয়ও অনেক বেশি। তাই এই টিকাদান কর্মসূচি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “টাইফয়েড প্রতিরোধে এ কর্মসূচি আমাদের জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ। প্রথম দিনেই ১০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি শিশু এই সুরক্ষার আওতায় আসবে।” তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে যথাযথভাবে টিকা সংরক্ষণ, পরিবহন ও প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও লজিস্টিক সহায়তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে দেশব্যাপী প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। টেলিভিশন, রেডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে অভিভাবকদের টিকাদানে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। অনেক এলাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের আগেভাগেই জানিয়ে শিশুদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফও এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় টাইফয়েড প্রতিরোধে বাংলাদেশের এ পদক্ষেপ অন্য দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবে।
বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই অভিভাবকরা সন্তানের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উৎসাহ নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন। অনেকেই বলেছেন, সরকারের এই উদ্যোগ তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে এবং তারা চান প্রতিটি শিশু যেন এই টিকার আওতায় আসে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা