সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নবীনগরে এক আর্দশ শিক্ষিকা কে  অবসর জনিত রাজকীয়  বিধায় সংবর্ধনা, যারা সত্যিকারের শিক্ষক, তাহারা কখনো।বিদায় নেন না, তাঁরা মিশে থাকেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তা – চেতনায়, এই শ্লোগান কে সামনে রেখে- চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনায় পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ডিজিটাল মাপযন্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার ঝিনাইদহে ভয়ঙ্কর রহস্য! তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ, ‘খুনি’ স্বামী লাল মিয়া কোথায়? বগুড়ার শেরপুরে তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি — মহিলা মেম্বারের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, জনতার হাতে এক অপহরণকারী আটক প্রথম দিনেই টাইফয়েড টিকা পেল ১০ লাখ শিশু মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপনে সাংবাদিক নেতা খান সেলিম রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান পল্লবী থানা এলাকায় টানা অভিযানে মাদক সাম্রাজ্যের পতন *লক্ষ্মীপুরে রুসুল গঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ* রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

ত্যাগ — খান সেলিম রহমানের হৃদয়ের আর্তি

ত্যাগ — খান সেলিম রহমানের হৃদয়ের আর্তি

(একজন কলমযোদ্ধার আত্মকথন)

আমি খান সেলিম রহমান —

সম্পাদক, কলমযোদ্ধা,

জাতীয় দৈনিক *মাতৃজগত* পত্রিকার প্রাণ,

আমি সেই নিঃস্ব পাথেয়,

যে নিভৃত আঁধারে ছড়িয়েছিল আলোর বাণী,

শুধু দেশের জন্য,

শুধু সাংবাদিকদের অধিকারের জন্য

রেখেছিলাম জীবনের সমস্ত প্রাপ্তিকে তুচ্ছ।

 

বন্ধু, ভাই, সহযোদ্ধা—

যাদের জন্য নিজেকে করেছিলাম উৎসর্গ,

আজ তারাই দাঁড়িয়েছে আমার বিপরীতে।

আজ তারাই আমার সর্বনাশের নেপথ্য কারিগর!

যাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম হৃদয়,

তারাই আজ ছুরি চালায় পিঠে।

 

আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম—

বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (বি.সি.পি.সি)

হবে নিপীড়িত কণ্ঠের নিরাপদ আশ্রয়।

একটি মঞ্চ—

যেখানে অন্যায়ের মুখে ছুড়ে দেওয়া হবে সত্যের বজ্রনিনাদ।

একটি পতাকা—

যা ওড়ে নির্যাতিত সাংবাদিকের রক্ত-মিশ্রিত বাতাসে।

 

তাদের জন্য দিয়েছি নিদ্রাহীন রাত,

অসহ্য ক্ষুধা, শত অপমান, গালি, হুমকি—

ভেবেছিলাম, হয়তো কোনো এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে

পাবো সামান্য শ্রদ্ধা,

একটু কৃতজ্ঞতা!

 

কিন্তু আজ?

যাদের বুক চিরে দিয়েছি ভালোবাসা,

তারাই হাসছে আমার কান্নায়!

আমার জীবন নিয়ে খেলা করছে

তারা, যাদের গড়েছিলাম

ভালোবাসার হাত ধরে, স্বপ্নের ভিতরে।

 

পেছনে ফিরে দেখি—

আছে শুধু নীরবতা আর বিশ্বাসঘাতকতার ছায়া।

আমার আত্মত্যাগ এখন তুচ্ছ,

ভালোবাসা—এক নিঃসঙ্গ অভিশাপ!

 

আমার কলম আজও চলে—

তবে শব্দগুলো রক্তে ভেজা।

প্রতিটি বাক্যে শোনা যায় এক লাঞ্ছিত মনোরোদ,

প্রতিটি ছন্দে বাজে এক সাংবাদিকের নিঃসীম আর্তনাদ।

 

আমি সেলিম রহমান শুধুই প্রশ্ন করি—

এই ছিল কি ভালোবাসার মূল্য?

এই ছিল কি ত্যাগের প্রতিদান?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা