আজহারুল ইসলাম সাদী, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
খুলনায় পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসীর গুলিতে এক যুবক নিহত এবং অপর এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৯টার দিকে খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকার সোহাগের বাড়িতে গুলি করে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ এক যুবককে আশংকাজনক হওয়ায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
নিহত যুবক সাব্বির (২৭)। তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপসা উপজেলার রাজাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আশরাফুল আলম।
এলাকাবাসী জানান, রাত ৯টার দিকে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকার বাসিন্দা সোহাগের বাড়িতে গোলাগুলি হয়। দুর্বৃত্তের গুলিতে সাব্বিরের মৃত্যু হয় এবং সাদ্দাম নামের এক যুবক মাথার পেছনে গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় সাদ্দামকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির মধ্যে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
রাজাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই আশরাফুল আলম বলেন, নিহত এবং আহত দু’জনই খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর সদস্য। এসময় সাব্বির এবং সাদ্দামসহ আরও অনেক যুবক ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল।
রাত৯ টার দিকে ৫-৭ জন দুর্বৃত্তর সশস্ত্র অবস্থায় তাদের ওপর আক্রমণ করে। দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময়ে একটি গুলি সাব্বিরের মাথার পেছন থেকে ভেদ করে সামনের একটি চোখ থেকে বের হয়ে যায় এবং একটি গুলি সাদ্দামের মাথার পেছনে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে দু’ রাউন্ড তাজা গুলি এবং দু’টি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
রাতে সাব্বিরের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
অপর একটি ঘটনায় বাবলু দত্ত (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৮ টার দিকে নগরীর হরিণটানা থানাধীন রাজবন্ধ এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল দত্ত দক্ষিণপাড়া এলাকার বসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে। নিহত ওই ব্যক্তি বালু এবং জমির ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বাইরের কাজ শেষ করে বাবলু দত্ত মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত গতিরোধ করে ফাকা একটি প্লটের মধ্যে নিয়ে যায়। প্লটের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাকে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছেনা। ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।