প্রকৌশলী মোঃ কাওছার আলী। স্টাফ রিপোটার।
দেবহাটার পাঁচপোতায় আটকে রাখা তিন শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে রাজীব হোসেন (৩৬) নামের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সুমনা আক্তার কলি।
বর্তমানে রাজীব তার ছোট স্ত্রীকে নিয়ে এলাকার বাহিরে কোন এক জায়গায় চুরি করে ভিকটিম শিশু কন্যা ও শিশু পুত্র ২ জনকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ৩ সন্তানকে আটকে রেখেছে।
সন্তান ৩টি তাদের পিতা রাজীবের হলেও বয়স হিসেবে তাদের মায়ের কাছে থাকার কথা। নেতা রাজীব হোসেন উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিজের ছেলে।
বুধবার (৯ জুলাই) সাতক্ষীরার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যুবলীগ নেতা রাজীবের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন তার প্রথম স্ত্রী সুমনা আক্তার কলি।
মামলাটিতে অপর দুই সতীন, শ্বাশুড়ি, ননদ ও দেবরসহ মোট ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আবেদনে সুমনা আক্তার কলি বলেছেন, ১৩ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাজীবের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান, ফতেমা -১০ বছর, ও দুটি পুত্র সন্তান, আজিম- ৬ বছর ৩ মাস, আলীফ- ৩ বছর, ২ মাস। বিয়ের পর কয়েক বছর তারা ভালোভাবে সংসার করলেও পরবর্তীতে রাজীবের বেপরোয়া জীবন যাপন, পরকীয়া, একাধিক বিয়ে এমনকি পরীকায়ার সূত্র ধরে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটাতে থাকে রাজীব। এসব নিয়ে বাধা দিতে গেলে বিভিন্ন সময়ে তার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। গত ২৮ জুন মিথ্যা অপবাদে স্ত্রী সুমনা আক্তার কলিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রাজীব ও তার বাড়ির লোকজন। সেসময় তার তিন শিশু সন্তানকে রাজীবের বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরদিন সকালে সুমনা আক্তার কলি তার বাচ্চাদের আনতে গেলে তাকে ফের মারধরসহ খুন-জখমের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে কোন সহায়তা না পেয়ে ন্যায় বিচার ও সন্তান ফিরে পাওয়ার আশায় সুমনা আক্তার কলি অবশেষে তার স্বামী যুবলীগ নেতা রাজীবের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০০ ধারায় বিধান মতে প্রতিকার চেয়ে বিঞ্জ আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। তথ্য সংগ্রহ করতে সহায়তা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক সাংবাদিক ডাঃ মোহাম্মদ অহিদুজ্জান। বিষয় টি নিয়ে এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে।।