খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা বিএনপি শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদারের স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তিতে দলের নেতা-কর্মীদের জন্য বেশ কিছু কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রামী সংগঠন। দলের প্রতিটি কর্মীকে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং আস্থাভাজন হতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেক নেতা-কর্মী সংগঠনের শক্তি ও প্রভাব ব্যবহার করে সালিশ পক্ষপাত দুষ্ট মধ্যস্ততাকারী, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এসব কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পাশাপাশি জনগণের আস্থা হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ কারণে বিজ্ঞপ্তিতে কঠোরভাবে জানানো হয়—উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা বা কর্মী যেন এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত না থাকে। দলের ভাবমূর্তি নষ্টকারী কাউকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যদি কেউ এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকে তবে তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপির সকল স্তরের কর্মীদের প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের অধিকার রক্ষা করা, গণমানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা। জনগণের পাশে থেকে দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করা এবং মানবিক আচরণ প্রদর্শনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা। কারণ, বিএনপি জনগণের শক্তির ওপর ভিত্তি করেই টিকে আছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই উপজেলা বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দলের ভেতরে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরও অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সালিশসহ
নেতিবাচক কাজগুলো এভাবে বিস্তার লাভ করত না। তাদের মতে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বিএনপি আরও সুসংগঠিত, ঐক্যবদ্ধ এবং জনবান্ধব রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে।
গলাচিপা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের নেতা-কর্মীকে এ নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।