খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল জনসভা ও মিছিল। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজারো নেতাকর্মীর ঢলে পৌরসভার খানকা মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দুপুরের পর থেকেই নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। বিকাল ৪টার দিকে গলাচিপা-দশমিনার জনপ্রিয় নেতা এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন সভাস্থলে পৌঁছালে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে স্লোগানে— “দাবি আমাদের একটাই, হাসান মামুনকে প্রার্থী চাই।” এরপর খানকা মাঠ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়, যা গলাচিপা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মাঠে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন খানসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মিছিলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপির কেন্দ্র থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলেও পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। দলীয় সূত্র বলছে, জোট শরীক দলের জন্য আসনটি আপাতত ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের একটাই দাবি— “আমরা হাসান মামুনকেই ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।” মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি হাসান মামুনকে প্রার্থী ঘোষণা না করা হয়, তবে আমরা প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল করবো এবং আরও কঠোর আন্দোলনে নামবো।” এসময় হাসান মামুন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমি আপনাদের প্রত্যাশা ব্যর্থ হতে দেব না। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমি ধানের শীষ নিয়েই গলাচিপা-দশমিনা আসনে নির্বাচন করবো, ইনশাআল্লাহ।” গলাচিপার সাধারণ মানুষও এমন জনসমাগম ও উচ্ছ্বাস দেখে বিস্মিত হয়ে পড়েন। অনেকে বলেন, “এত মানুষ আগে কখনো দেখা যায়নি—গলাচিপা যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছিল।”