মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও অশুভ সংকেত? জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন মাদারগঞ্জে সুখনগরী নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি কবি সংসদ বাংলাদেশের ১১১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ৩১ দফার বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে ………………………………. লায়ন মো. হারুনুর রশিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও স্কফ সিরাপ উদ্ধার, দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার আখাউড়ায় পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষপান করে গৃহবধূর মৃত্যু ধামইরহাট বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন দুর্গম হারাঙ্গীপাড়ায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা আখাউড়ায় নবাগত ইউএনও তাপসী রাবেয়ার সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় ভিসা প্রতারণা মামলা আসামীরা সৈয়দপুরে শ্রমিক-ভ্যানচালক বিপাকে পরিবারের ভুক্তভোগীরা ঝিনাইদহে গনসংযোগে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে নামলেই ধোলাই করা হবে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সিমেন্ট দিয়ে ফলক ঢেকে দেওয়ার ঘটনায় সরকারি মাহ্তাব উদ্দিন কলেজ ছাত্রশিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ কক্সবাজার জেলায় উখিয়া সদর স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ দোকান পোড়ে গেছে অর্ধশতাধিক ধামরাইয়ে প্রতারণার নাটক: পাঁচ স্বামী পেরিয়ে ষষ্ঠ স্বামীকেও সর্বস্বান্ত করলেন ‘চতুর নারী’ আমেনা বেগম! জলঢাকায় জামায়াতের স্মরণকালের বৃহত্তম মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা। আটঘরিয়ার শিক্ষকের বেত্রাঘাত সহ্য করতে না পেরে বিষপানে শিক্ষার্থীর আত্নহত্যা,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরের শ্রীপুরের বিল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার খুলনায় দুই সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)–এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ। দ্বীপজেলা ভোলা নাগরিক ঐক্য ফোরামের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভোলার উন্নয়ন ও নাগরিক অধিকারে ঐক্যবদ্ধ নতুন নেতৃত্বের অঙ্গীকার কালীগঞ্জে হামিদুল ইসলাম হামিদের বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জনসভা

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও অশুভ সংকেত? জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্ন

আওরঙ্গজেব কামাল : বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারো শুভ সংকেত দেখা দিয়েছে। এ থেকে জনসাধারণের জন্ম নিরাপত্তা নি হয়ে পড়ছে। মানুষের মধ্যে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজধানী সহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন ও সহিংসতায় উদ্বিগ্ন রাজধানী এখন উত্তপ্ত। একদিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রশ্নবিদ্ধ অপরদিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় আইনশৃঙ্খ পরিস্থিতি কিছুটা হলো ভাটা পড়েছে। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন—সুষ্ঠু ও নিরপক্ষ নির্বাচন আদৌ কি সম্ভব? এ প্রশ্ন আমার না এটা সর্বসাধারণের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । এদিকে অন্তবর্তীকালীন সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে কোথাও যেন একটা সমস্যা বিরাজ করছে। অবশ্যই ইতিমধ্যে সরকার বদ্ধপতিপরিকর হয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে আচরণবিধি নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। তবুও কোথায় একটা ভয় জনসাধারণের মধ্যে ডানা বেধে রয়েছে। তার কারণ জুলাই আগস্ট এর পর যে দলগুলো ঐক্যমত পোষণ করেছিল তারা এখন নিজেরাই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগছে। পরস্পর বিরোধী কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করছে। একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনীতির নামে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। আর সেই সুযোগে রাজনৈতিক ফায়দা লূটার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। অথচ একটি নিরপেক্ষ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যেখানে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। সব বাহিনী কমবেশ ঢেলে সাজানো হয়েছে ।তবুও যদি আদালতের সামনে মানুষকে গুলি করা হত্যা করা হয়। তাহলে এই জুলাই অভ্যুত্থানের প্রাপ্ত স্বাধীনতা কতটুকু রক্ষা হল। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার পুনরুত্থান যেন নতুন করে প্রশ্ন তুলছে—বাংলাদেশ কি আবারও সহিংসতার দুষ্টচক্রে ঢুকে পড়ছে? কারাই আগুন সন্ত্রাস করছে। কারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। দেশের গোয়েন্দা বিভাগ কি কিছুই বুঝতে পারছে না। পুলিশ কেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এছাড়াও আরেকটি বড় প্রশ্ন রয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে এটা এখন স্পষ্ট হয়নি। এক কথা বলা যায় রাজনীতিতে চলছে যেন এক বিশৃঙ্খলা। জুলাই সনদ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কর্মী সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির আস্তাকুনতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে দেশের লোক রয়েছে চরম বিপদে বা আতঙ্কের মধ্যে। আগামী ১৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন, অন্যদিকে নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে চলছে তীব্র উত্তেজনা। ঐক্যমত কমিশনের শত চেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলি এখনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা প্রস্তুত; তবে মাঠপর্যায়ের তথ্য বলছে, পরিস্থিতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি নাজুক। যেটার প্রমাণ সোমবার রাজধানীতে লক্ষণীয় হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আদালত প্রাঙ্গণে গুলি করে হত্যার ঘটনা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে বিস্ফোরণ—এসব ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষ আবারও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী দেশের-সহিংসতার পরিসংখ্যান ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আগস্ট ২০২৪ থেকে মে ২০২৫ পর্যন্ত দেশে ৪৪৪টি রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেছে; এতে ১২১ জন নিহত, আহত ৪,৮৯২ জন। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ১,৯ ৫০টি খুনের মামলা রেকর্ড হয়েছে—পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। শুধু মার্চ মাসেই ৭১টি রাজনৈতিক সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও ৬৪২ জন আহত হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের মধ্যে দেশজুড়ে সহিংসতায় ১,৪০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটতে পারে। এই তথ্যগুলো স্পষ্ট করছে—রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়, বরং কাঠামোগত সংকটে রূপ নিচ্ছে। এখন জনসাধারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। ৫ আগস্টের ঘটনার পর থেকে পুলিশের মনোবল ও জনআস্থা—দুটিই চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রশাসনের দাবি, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখন আগের চেয়ে আরও প্রস্তুত”, কিন্তু বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে, সহিংসতার খবর প্রতিদিনই নতুন করে শিরোনাম হচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন জাগছে—ফ্যাসিবাদী প্রভাব ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে পারছে কি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী? এখনো পুলিশ ঘুষ খাচ্ছে। প্রতিনিয়ত পুলিশের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ উঠছে। এখনো অফিস আদালতে ঘুষের বাণিজ্য চলছে। তাহলে দেশে কিসের সংস্কার হলো। বিনা অপরাধে হাজারো মানুষ মিথ্যা মামলা শিকার হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুঁজি করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে জুলাই আগস্টে শহীদদের রক্তের সাথে চরমভাবে বেইমানি করছে এমন অভিযোগ রয়েছে। দেশের সাংবাদিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ জলায়ো উত্থানের মামলায় মিথ্যা ভাবে আসামি করা হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদী সাথে কখনো যুক্ত ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে কাঁদা ছোড়াছুড়ি করছে তা দেখে যে কেউ মনে করবে বাংলাদেশের সুস্থ ধারার রাজনীতি হয়তো আর কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। যদিও দেশের সকল রাজনীতি দল গণতন্ত্র কে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলে যাচ্ছে। আমি মনে করি এটা মুখের কথা বাস্তবে তেমন কিছু লক্ষণীয় নয়। বরং তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছে। আর রাজনৈতিক দলের এই অস্থিরতার কারণে অশুভ শক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। অনেকে বলতে শুরু করেছে নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা অথবা নিরপেক্ষ নির্বাচনের বাধ্যকতার মধ্যে রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে সহিংসতা, বিরোধী দলের মহাসমাবেশ ও সরকারি কর্মসূচি নিষিদ্ধকরণের পর প্রশ্ন উঠছে—নির্বাচন আদৌ কতটা সুষ্ঠুভাবে সম্ভব?বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “যখন জনগণের নিরাপত্তা অনিশ্চিত, তখন গণতন্ত্রও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে যে ফ্যাসিবাদী ছায়া ২০২৪ সালের উত্তাল সময়ের পরও রয়ে গেছে, তার প্রতিফলন আজও দৃশ্যমান। সরকার সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হলেও, অভ্যন্তরীণ দলীয় দ্বন্দ্ব ও ক্ষমতার সংঘাত এখনো দমে যায়নি। অতএব, সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন—বাংলাদেশ আবারও কি অশুভ সংকেতের মুখে? আওরঙ্গজেব কামাল সভাপতি, ঢাকা প্রেস ক্লাব | ইমেইল: amarnewstv@gmail.com


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা