সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিনা পাশে সুন্দরবনে প্রবেশ করায় ৩ জেলে আটক সাংবাদিক নির্যাতন ও বিভাজন: কলমের যোদ্ধারা আজ শত্রুতে পরিণত ফুলবাড়ীতে ১শতটি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১ মাদক কারবারি আটক। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমানের একমাত্র ছেলে খান সিফাত রহমান রাফির ১৭তম জন্মদিন পালিত গলাচিপায় মাদকের আগ্রাসন: কিশোররা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে গলাচিপায় রাস্তার অর্ধসমাপ্ত কাজের জটিলতা: ঠিকাদারের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে দৃষ্টিনন্দন রূপে গড়ে উঠেছে গলাচিপা উপজেলা পরিষদ চত্বর গলাচিপায় আদালত ভবন থাকলেও দেওয়ানী মামলা চলছে পটুয়াখালীতে উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিনিধি ও বিজিএমইএ’র বৈঠক হারানো বিজ্ঞপ্তি

গলাচিপায় আদালত ভবন থাকলেও দেওয়ানী মামলা চলছে পটুয়াখালীতে

খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আদালত ভবন, দেওয়ানী আদালতের এজলাস কক্ষ ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দেওয়ানী মামলার কার্যক্রম চলছে জেলা সদরে। এতে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরকার উপজেলা ঘোষনা করার পরে
১৯৮৩ সালে গলাচিপা উপজেলায় দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর ১৯৯৩ সালে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের কার্যক্রম জেলা সদরে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পুনরায় ২০০০ সালে গলাচিপায় শুধু ফৌজদারি আদালত পুনঃস্থাপন করা হলেও দেওয়ানী আদালতের কার্যক্রম আর ফেরানো হয়নি। ফলে গলাচিপা আদালত ভবনের দেওয়ানী আদালত ও এজলাস কক্ষ দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খালি পড়ে আছে।

গলাচিপা এবং রাংগাবালী উপজেলার দেওয়ানী মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীতে নিষ্পত্তি হয়ে আসছিল। তবে কয়েক মাস আগে রাংগাবালী উপজেলার দেওয়ানী মামলাগুলো স্থানীয়ভাবে স্থানান্তরিত করা হলেও সেখানে এখনও স্থায়ী আদালত ভবন নেই। অস্থায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবস্থায় সেসব কার্যক্রম চালু থাকলেও গলাচিপায় পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও এখানকার দেওয়ানী মামলা এখনো জেলা সদরে পরিচালিত হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের দাবি, গলাচিপার দেওয়ানী মামলা যেন দ্রুত এখানকার উপজেলা আদালতে স্থানান্তর করা হয়। চিকনিকান্দি ইউনিয়নের গৃহবধূ মিনারা বেগম জানান, তার একাধিক দেওয়ানী মামলা বর্তমানে পটুয়াখালীতে চলছে। প্রতিবার মামলা পরিচালনার জন্য তাকে জেলা শহরে যেতে হয়। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হয়, তেমনি সময় নষ্ট হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাত্রীযাপনও করতে হয়। তার মতে, গলাচিপার শত শত মানুষ একই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

গলাচিপা ফৌজদারি আদালতে কর্মরত সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল খালেক মিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. রাইসুল ইসলাম জাহিদ, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. মনির গাজী, এ পি পি গাজী মো. আল-আমিন এবং গলাচিপা উপজেলা আইনজীবী প্রতিনিধি মো. মোকলেছুর রহমানসহ একাধিক আইনজীবী জানান, রাংগাবালীতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকলেও সেখানে দেওয়ানী মামলা চলছে। অথচ গলাচিপায় যথেষ্ট অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষকে পটুয়াখালী যেতে হচ্ছে। তারা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে গলাচিপায় দেওয়ানী আদালত কার্যক্রম চালুর জোর দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে গলাচিপা ফৌজদারি আদালতের জিআরও মো. আবু সালেহ এবং বেঞ্চ সহকারী মো. ফেরদাউস বলেন, গলাচিপা দেওয়ানী আদালত চালুর মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো, কক্ষ ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যেকোনো সময় এখানকার দেওয়ানী আদালত কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।

গলাচিপার সাধারণ মানুষ মনে করেন, দেওয়ানী মামলাগুলো জেলা সদরে চালানোর ফলে মামলার নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, ভোগান্তি ও হয়রানিও বাড়ছে। তাই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে গলাচিপায় দেওয়ানী আদালত চালুর জোরালো দাবি তুলেছেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা