সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নবীনগরে এক আর্দশ শিক্ষিকা কে  অবসর জনিত রাজকীয়  বিধায় সংবর্ধনা, যারা সত্যিকারের শিক্ষক, তাহারা কখনো।বিদায় নেন না, তাঁরা মিশে থাকেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তা – চেতনায়, এই শ্লোগান কে সামনে রেখে- চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনায় পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ডিজিটাল মাপযন্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার ঝিনাইদহে ভয়ঙ্কর রহস্য! তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ, ‘খুনি’ স্বামী লাল মিয়া কোথায়? বগুড়ার শেরপুরে তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি — মহিলা মেম্বারের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, জনতার হাতে এক অপহরণকারী আটক প্রথম দিনেই টাইফয়েড টিকা পেল ১০ লাখ শিশু মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপনে সাংবাদিক নেতা খান সেলিম রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান পল্লবী থানা এলাকায় টানা অভিযানে মাদক সাম্রাজ্যের পতন *লক্ষ্মীপুরে রুসুল গঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ* রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

গলাচিপায় নদী ভাঙনে সড়ক বিলীন হওয়ার শঙ্কায় মানববন্ধন

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুসুরি কাঠি গ্রামের ভেরী বাঁধ সংলগ্ন পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই বছর আগে ভাঙন শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় আজ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমখোলা বাজারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রায় এক চতুর্থাংশ কিলোমিটার রাস্তার অর্ধেক অংশ ইতোমধ্যে নদীতে ধসে পড়েছে। ফলে বাস, ট্রাকসহ সকল যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি।

গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র এই সড়ক যেকোনো সময় সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জনমনে আতঙ্ক
নদীপাড়ে বসবাসরত মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম আতঙ্ক। বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া বা ঘূর্ণিঝড় দেখা দিলে পুরো রাস্তাটি ভেঙে গেলে ফসলি জমি, মানুষের বসতি ও গবাদি পশু মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। ভাঙনের কারণে দিন দিন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

অভিযোগ ও প্রশ্ন
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছে, ভাঙন রোধে আগে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। কারণ নদীর তলদেশ সরে গেলে কেবল উপরের গাইড ওয়াল দিয়ে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। ভুল পরিকল্পনার কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে ভেসে যাচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই কেন এমন প্রকল্প হাতে নেওয়া হলো?

মানববন্ধন ও দাবি
ভাঙনের তীব্রতায় ক্ষুব্ধ হয়ে আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আমখোলা ইউনিয়নের শত শত সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছেন। তাদের দাবি, দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক, অন্যথায় পুরো সড়ক বিলীন হয়ে গেলে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীর হাজারো মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জরুরি উদ্যোগ প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব নয়। স্থানীয়দেরও দাবি—এ ঘটনায় জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে কার্যকর ও টেকসই প্রকল্প হাতে নেওয়া উচিত। নইলে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতিসহ সব খাতের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা