মোঃ নূর নবী হাওলাদার
জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ ক্রাইম সংবাদ
সিনিয়র রিপোর্টার, মনপুরা
দ্বীপ জেলা ভোলার মনপুরা উপজেলার ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিভি)-এর পণ্য বিতরণে চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার ডিলার মোঃবাহাদুর এর বিরুদ্ধে তার বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলায় বলে জানা যায়। সকাল ১০টায় পণ্য বিতরণের কথা থাকলেও প্রায় ১১ঃ৩০ টার পর,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন থেকে রয়ে যাওয়ামালামাল এনে বিতরণ শুরু করে ডিলারের এক জন প্রতিনিধি মো সোহাগ যার ফলে উত্তর সাকুচিয়া মোট ১৬১ কার্ডধারী রয়েছে বলে জানান সোহাগ।পরে সরেজমিনে দেখা যায় সেখানে মাত্র ১০১ টির সোয়াবিন তেলের বোতল যা দেখে অনুমান করা যায় ১০১জন কার্যদারীকে দেয়া যেতে পারে। তবে কেন ডিলার এমন কাজ করে তা জানে না কেউই।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ৫৫০ টাকা দিয়ে টিসিভি’র পণ্য (৫ কেজি চাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল এবং ২ লিটার তেল) ক্রয় করেন।প্রতি মাসে এই টিসিবির মাল বিতরন করার কথা থাকলেও তা বিতরন করছে না ডিলার, দুই, তিন মাস পরে বিতরন করে তাও জানে না কার্ডদারীরা।কোনো কোনো সময় তাদের পাওয়া যায় না বিক্রয় কেন্দ্রে,এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন ডিলার না এসে মনপুরায় মোঃ সোহাগ নামের এক ব্যাক্তি কে দিয়ে বিতরন করান তিনি,তারা আরো বলেন প্রত্যেক মাসে দেয়া হয় না এই পণ্য, আমরা নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাসে পাই না টিসিবির পণ্য। এই অনিয়মের কারণে সুবিধাভোগীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকার কার্ডধারীদের সূত্রে।
স্থানীয়দের মতে, পণ্য বিতরণে স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতার অভাব এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার মোঃবাহাদুর এর অবহেলাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে টিসিভি পণ্য বিতরণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এই অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম চলতে থাকলে সরকারের জনবান্ধব এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মনপুরার ৩নংউত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাধারণ কার্ডধারীরা।
ডিলারের অনিয়মের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য অভিযোগ করে বলেন প্রতি মাসে বিতরন করছে না ডিলার,আবার যে মাসে বিতরন করে ২০/৩০ জন কে দিয়ে চলে যায় তারা,পরে কার্ডধারীরা এসে ফিরে যেতে হয়।এটা দীর্ঘদিনের অনিয়ম! নিয়মে পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিলার মোঃবাহাদুর এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলল্লে তিনি গণমাধ্যম কর্মীর সাথে উত্তোজিত হয়ে বলেন আপনি জেলা প্রশাসক থেকে জেনে নেন।আমাকে ফোন দিবেন না।তাহলে প্রশ্ন ডিলারের অনিয়েমর জন্য কি জেলা প্রশাসক দায়ী?
এ বিষয়ে ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক মোঃনাছির উদ্দিন জানান টিসিভির পণ্য বিতরন করলে আমাকে অবগত করে না কেন তা জানি না।তিনি আরো বলেন এই ডিলার আমাকে জানায় নি আজকে ও বিতরনে।তাহলে প্রশ্ন রয়ে গেল সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তাদের কাছে জানবে কে?