সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বেপরোয়া গতির ছোবলে ঝরলো কিশোর প্রাণ — শাহজাদপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রোহানের মর্মান্তিক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শিক্ষক কো-অপারেটিভ ‘কালব’ অফিসের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির অভিযোগ চুয়াডাঙ্গায় ডিএনসির অভিযানে দেড়শ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক ব্যক্তি আটক মনপুরায় অবৈধ স-মিলের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা স্থানীয়দের নবীনগরে মাদকের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত -১ গুলিবিদ্ধ – নীলফামারীতে পলিথিন বিরোধী অভিযান। ঝিনাইদহে সাইবার পুলিশের সাফল্য, শতাধিক মোবাইল ও প্রায় লাখ টাকা উদ্ধার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও এসআইবিএল পরিচালক নার্গিস মান্নানের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সিংগারবিল ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত।

নবীনগরে মাদকের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত -১ গুলিবিদ্ধ –

হেবজুল বাহারস্টাফ রিপোর্টার:

২/১১/২৫ ইং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ্ মাজার, নুরজাহানপুর ও থোল্লাকান্দি এলাকায় মাদকের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিপন মিয়া (৩০)মারা যান। তিনি নুরজাহানপুর গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নে গণি শাহর মাজার সংলগ্ন একটি স্থানীয় বিষুর হোটেলে নুরজাহানপুর গ্রামের মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেকের ছেলে শিপন মিয়া নাস্তা খাচ্ছিল। ওই সময় থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান মাস্টারের সহযোগী মৃত মিস্টার মিয়ার ছেলে আরাফাতের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী হোটেলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এতে শিপন মিয়া (৩০) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। মনেক মিয়ার ছেলে শিপন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর তার গ্রাম নূরজাহানপুরে ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে থোল্লাকান্দির তালতলা মোড়ে এমরান মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোড়া গুলিতে এমরান মাস্টার(৩৮)গুলিবিদ্ধ হন। পরে মনাকের লোকজন আরাফাতের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এদিকে এমরান মাস্টার ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই। হোটেল কর্মচারী ইয়াছিন ও এমরান মাস্টারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ে একক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নুরজাহানপুরের মনেক মিয়া ও এমরান মাস্টার গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই আধিপত্যের দ্বন্দ্বই পাল্টাপাল্টি হামলার মূল কারণ বলে স্থানীয়রা মনে করছেন তবে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। তাদের অত্যাচার ও নির্যাতনে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার রাতেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক এবং নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আর যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে সে জন্য এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ডাকাতির ভাগাভাগি নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। মনেক ও তার ছেলে নিহত শিপনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় অস্ত্র , মাদক, খুন ও ডাকাতি সহ একাধিক মামলা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা