সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপনে সাংবাদিক নেতা খান সেলিম রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান পল্লবী থানা এলাকায় টানা অভিযানে মাদক সাম্রাজ্যের পতন *লক্ষ্মীপুরে রুসুল গঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ* রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা আমিনুল হকের ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষে ভোট চেয়ে যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের বিশাল মিছিল ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অস্ত্র উদ্ধার আটক ২ জন ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার ও পাঁচ বাংলাদেশি আটক করতোয়া নদীতে নিখোঁজের৩২ ঘন্টা পর হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের

গলাচিপায় ৩৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে ১৯৮৮ সালে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দেবেন্দ্র শিকারী দেবুকে। হত্যার পর নিহতের মেয়ে কল্পনা শিকারী বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত একই গ্রামের মৃত ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. হারুন হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার পর থেকেই আসামী পলাতক ছিলেন।

এদিকে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে আইনের জালে ধরা পড়লেন আসামী হারুন হাওলাদার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গলাচিপা থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর লালবাগ এলাকার রোকেয়া কুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে শুক্রবার দুপুরে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান জানান, পুলিশের কাছে এই মামলাটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসামী দীর্ঘদিন ধরেই পরিচয় গোপন করে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, “আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি এবং অবশেষে ঢাকা থেকে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এ গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বহু বছরের পুরনো হত্যা মামলার রায় কার্যকর করা সম্ভব হবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এটি একটি বড় সাফল্য।”

স্থানীয়রা মনে করছেন, দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর আসামী গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবার কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, অপরাধ করে কেউ শেষ পর্যন্ত আইনের হাত থেকে রক্ষা পায় না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা