সোহেল রানা স্টাফ রিপোর্টারঃ
নওগাঁর মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন ও বেশ কয়েকজন ডিলারের বিরুদ্ধে সার সিন্ডিকেট দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সার সিন্ডিগেট শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা জোড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঠিক তখনই নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষি কর্মকর্তা। তাইতো অভিযুক্ত ডিলারকে দিয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি একজন কৃষক ২৫-৩০ বিঘা জমিতে আবাদ করি, কিন্তু আজ পর্যন্ত ডিলার যুগলের কাছে সরকারি রেটে সার পাই নাই, কিন্তুু প্রতি বস্তায় দুই থেকে তিনশত টাকা অতিরিক্ত দিলে ইচ্ছেমতো সার পাওয়া যায়। এছাড়াও কৃষক আব্দুল লতিফ, এবাদ, শামসুল ইসলাম সহ অসংখ্য কৃষকের একই অভিযোগ যুগল চন্দ্রের ডিলার দিয়ে সুবল চন্দ্র দুই ভাই মিলে ব্যবসা করেন। কৃষকদের অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে একই উপজেলায় চাকরি করছেন কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন গড়ে তুলেছে সিন্ডিগেট এর আখড়া কৃষকরা বলেন তিনি যে সিন্ডিকেটের মূল কর্তা আমরা তো জানতাম না তাই হয়তো তার কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয় না । কৃষি কর্মকর্তা ডিলারদের পক্ষে কথা বলেন। স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, শস্যভান্ডার খ্যাত মান্দা উপজেলার কৃষকদের বাঁচাতে দ্রুত অসাধু কর্মকর্তা এবং ডিলারদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের রাসায়নিক সারপ্রাপ্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি কর্মকর্তার পক্ষে সাফাই গেয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে জানতে ভাই ভাই ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ডিলার যুগল চন্দ্র মন্ডল এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।