আবু তাহের
ব্যুরো চিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক নির্যাতন ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এবং সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে টি এ রোড মঠের গোড়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ও সরেজমিন বার্তার ব্যুরো চিফ এনামুল হক আরিফ।নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও তিতাস বার্তা সম্পাদক এম এ মতিন সানু।সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জেলা শাখার সহসভাপতি শাহ আলম পালোয়ান।বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সিনিয়র সভাপতি ও দৈনিক বঙ্গসংবাদ-এর জেলা প্রতিনিধি অলি উল্লাহ খান গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রেসক্লাবের একটি মিটিংয়ে যোগ দিতে বাসা থেকে বের হলে কথিত ভুয়া সাংবাদিক ইয়াছিন মাহমুদ তার দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলার উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা।ঘটনার পর সাংবাদিকরা থানায় এজাহার দায়ের করেন। কিন্তু এরপর থেকেই ইয়াছিন মাহমুদ বিভিন্নভাবে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।সভাপতি এনামুল হক আরিফ বলেন—“সাংবাদিকরা দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। অথচ আজ তারাই হামলা, হুমকি ও ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন। ইয়াছিন মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার আড়ালে চাঁদাবাজি ও অপসাংবাদিকতা চালিয়ে আসছে। তার নামে ইতোমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে। বর্তমানেও চাঁদাবাজির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।”তিনি প্রশাসনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
“অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার না করলে সাংবাদিক সমাজ আরও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।”
সরাইল উপজেলার সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক মাতৃ জগত পত্রিকা ব্যুরে চিফ সাংবাদিক আবু তাহের বলেন ইয়াসিন মাহমুদ কে অপসংবাদিকও বলা যাবে না কারণ কোন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা কখনোই হবে না। ইয়াসিন মাহমুদ দেখতো সরকারের আমলে ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন মানুষের অতি সাধন করেছে। আমি এই চাঁদাবাজ এর কঠিন বিচার আশা করি। সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম বলেন—“আমাকেও ইয়াছিন মাহমুদ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, এই ভুয়া সাংবাদিককে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।”
প্রধান বক্তা ও তিতাস বার্তা সম্পাদক এম এ মতিন সানু বলেন—“সাংবাদিকতা পেশাকে কলঙ্কিত করছে ইয়াছিন মাহমুদ। সাংবাদিকরা যেন নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, সেজন্য তাকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।”এছাড়া অন্য বক্তারাও বলেন, সাংবাদিকরা যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন বাধাগ্রস্ত হবে। পেশার মর্যাদা রক্ষায় সাংবাদিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
মানববন্ধনে উপস্থিত শতাধিক সাংবাদিকের অভিন্ন দাবি—ভুয়া সাংবাদিক ইয়াছিন মাহমুদকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বক্তারা মনে করেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের পাশাপাশি প্রশাসনকেও সাংবাদিক সমাজের পাশে দাঁড়াতে হবে।