খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌকি আদালতে দীর্ঘ আট মাসের শুন্যতা শেষে বিচার কার্যক্রমে নতুন গতি ফিরতে যাচ্ছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) আদালতে নতুন বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর গলাচিপায় কর্মরত তৎকালীন বিচারক বদলিজনিত কারণে অন্যত্র যোগদান করলে আদালত কার্যত বিচারক শুন্য হয়ে পড়ে। এরপর থেকে টানা আট মাস গলাচিপা ও রাংগাবালী উপজেলার বিচারপ্রার্থীরা নানান দুর্ভোগ ও ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটান। মামলার তারিখ পেলেও কার্যক্রম এগোতো না, রায় স্থবির হয়ে ছিল। ফলে সাধারণ মানুষকে ন্যায়বিচার পেতে পটুয়াখালী জেলা আদালতে ছুটতে হতো, এতে অর্থনৈতিক ও সময়ের অপচয় বেড়ে যায়।
অবশেষে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের যোগদানের মধ্য দিয়ে এ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। নতুন বিচারক দায়িত্ব গ্রহণ করায় আদালত চত্বরে স্বস্তি ও প্রাণচাঞ্চল্যের আবহ ফিরে আসে।
বিচারকের যোগদান উপলক্ষে গলাচিপা উপজেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন আদালতে বিচারক না থাকায় আমাদের পেশাগত কাজ ব্যাহত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নতুন বিচারকের যোগদানে আবারও বিচার কার্যক্রম সচল হলো, এতে আমরা সবাই স্বস্তি পাচ্ছি।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গাজী মো. আল-আমিন বলেন, এখন থেকে আর মামলার তারিখ পিছিয়ে যাবে না। বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে। বিচারপ্রার্থীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।
এছাড়া অনেক আইনজীবী সহকারী ও আদালতের কর্মচারীরা জানান, বিচারক আসায় আদালত প্রাঙ্গণে নতুন উদ্দীপনা ও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁর প্রথম দিনের বক্তব্যে বলেন, “আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, দুর্নীতি দমন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই হবে আমার অঙ্গীকার। সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়া সহজ করতে আদালতের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও গতিশীল করার চেষ্টা করবো।”
নতুন বিচারকের যোগদানে আইনজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই আশাবাদী যে, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি শেষ হয়ে গলাচিপা চৌকি আদালতে বিচার কার্যক্রম নতুন গতিতে এগিয়ে যাবে।