আশীষ বিশ্বাস
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সমাজসেবক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে চালানো মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী চক্র তার বিরুদ্ধে পাথর ও বালু উত্তোলন, জব্দকৃত মালামাল বিক্রয় এবং শব্দ দূষণ সংক্রান্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে তাকে হেয় করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, “আমার বাবা মৃত মোশারেফ হোসেন একজন সৎ ও সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আমি তার আদর্শ অনুসরণ করে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করি। পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বৈধভাবে পাথর ক্রয় করে বিক্রি করি। সম্প্রতি কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য ছড়াতে শুরু করে।”
তিনি আরও বলেন, “এমন অপপ্রচারের কারণে আমার সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিগত সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রশাসনের চোখে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।”
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন এই অপপ্রচারের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হয়। একই সঙ্গে যারা মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
স্থানীয় অনেক বাসিন্দা জানান, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম একজন শান্তিপ্রিয়, সৎ ও সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং ব্যক্তিগত স্বার্থে প্রণোদিত বলে তারা বিশ্বাস করেন।
একজন প্রবীণ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। এমন একজন মানুষকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনৈতিক।”
এদিকে, এ বিষয়ে এখনো স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত তদন্ত করে অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।