-বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী
টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫২ তম গ্রীষ্মকালিন বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা পরিষদ পুকুরঘাট চত্বরে সাঁতার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর সকল ইভেন্টের খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এবং ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো.নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তুহিন হোসেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো:নবাব আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ কাজী লিয়াকত।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম।বিএমজিটিএ-এর জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক কে.এম. শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নবাব আলী,গোপালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো :জোবায়েরুল হক আমিন,
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো.আমিনুল ইসলাম,সূতী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আঃ হাই।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন গোপালপুর ক্রীড়া সমিতির সাবেক সম্পাদক
,সূতী ভি.এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শারীরিক শিক্ষক মো: গোলাম রায়হান বাপন।
ধারা ভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন সূতী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.রোকনুজ্জামান জুয়েল এবং মাঠ পরিচালনায় ছিলেন সূতী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো.শাহাদৎ হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান শিকদার,
মো.তোজাম্মেল হক, হোসনে আরা, মো.রফিকুল ইসলাম মিয়া,মো.জাহাঙ্গীর আলম,
আশরাফুল ইসলাম রাসেল,
মো.লুৎফর রহমান,মাহমুদা খাতুন,নার্গিস বেগম প্রমূখ।সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার দিকে আকৃষ্ট করতে হবে।শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়ামোদী সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে। মোবাইল আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে হলে বিভিন্ন খেলাধুলার সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।এছাড়া কোনো বিকল্প নেই। গোপালপুরে ক্রীড়া ক্ষেত্রে মাদ্রাসা ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ হতাশা জনক।ক্রীড়া ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।গোপালপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তুহিন হোসেনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ,মনিটরিং এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি ছিলো লক্ষণীয়।ফুটবল খেলা পরিচালনায় ছিলেন মো.ইব্রাহিম মিয়া,
মো.আতিকুর রহমান,
মো.শামীম,মো.মহির উদ্দিন,
মো.শহিদুল ইসলাম,মো.
আরিফুল ইসলাম। ফাইনাল ফুটবল খেলাটি পরিচালনা করেন আতিকুর রহমান,মো.শহিদুল ইসলাম,মো.মহির উদ্দিন।
ক্রীড়া প্রতিয়োগিতা পরিচালনা এবং বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র শারীরিক শিক্ষকগণ,
উপজেলার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ,
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,
শিক্ষার্থীবৃন্দ ও স্থানীয় দর্শকবৃন্দ।