সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপনে সাংবাদিক নেতা খান সেলিম রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান পল্লবী থানা এলাকায় টানা অভিযানে মাদক সাম্রাজ্যের পতন *লক্ষ্মীপুরে রুসুল গঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ* রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা আমিনুল হকের ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষে ভোট চেয়ে যুবদল নেতা সাজ্জাদুল মিরাজের বিশাল মিছিল ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অস্ত্র উদ্ধার আটক ২ জন ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় মদ উদ্ধার ও পাঁচ বাংলাদেশি আটক করতোয়া নদীতে নিখোঁজের৩২ ঘন্টা পর হৃদয়ের লাশ উদ্ধারের

গলাচিপায় আইনজীবীদের টানা ১৪ দিন আদালত বর্জনেও মিলেনি সমাধান

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মো. আবু জাফরের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা টানা ১৪ দিন ধরে আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এ দীর্ঘ সময়েও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি, ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ বিচারপ্রার্থী।

অভিযোগে জানা যায়, এমএলএসএস পদ থেকে প্রভাব খাটিয়ে পেশকারে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই আবু জাফর নানা অনিয়মের মাধ্যমে আদালতকে ব্যক্তিগত আয়ের কেন্দ্রে পরিণত করেন। মামলার তারিখ পরিবর্তন, রায় প্রভাবিত করা, নথি ও সই-মহরের কপি দিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়, পক্ষভুক্তদের কাছ থেকে অর্থ দাবি, এমনকি বিচারকের বরাত দিয়ে টাকা চাওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

৮ সেপ্টেম্বর আদালতের নথি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনজীবীরা তার কক্ষে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীরা আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে পেশকার জাফরের বোনের ছেলেকে অফিস থেকে বহিষ্কার করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।কিন্তু অভিযোগের পর দুই সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, শুধু বদলি করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। তারা আবু জাফরের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে আদালত বর্জন চলমান থাকায় শত শত মামলা ঝুলে আছে। বিশেষ করে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় দেওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে বহু কৃষক জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। মৌসুম শেষের পথে হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি থেকে যাবে এবং কৃষকদের পাশাপাশি দেশও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা