সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আজ বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খান সেলিম রহমানের সম্মানে ভোলায় প্রীতি আড্ডা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে ‎মুক্তাগাছার কালিবাড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কাশিমপুরে সাধু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আল্লাহকে কটুক্তি করায় আগামীকাল মামলা দায়েরের প্রস্তুতি ও গণজমায়েত। ময়মনসিংহ মেডিক্যালে তীব্র উত্তেজনা সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই ডিজির সঙ্গে চিকিৎসকের প্রকাশ্য সংঘর্ষ আগ্রাবাদে ওয়ান্ডারল্যান্ড এ্যামিউজমেন্ট পার্কের উদ্বোধন করলেন মেয়র ডা. শাহাদাত শম্ভুগঞ্জে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন সেবা,দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে মানবিক উদ্যোগে মানুষের ঢল কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আখাউড়ায় ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নওগাঁ-২ আসনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী সামসুজ্জোহা খানের বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন নলডাঙ্গার মাধনগরে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত। জামালপুরে সাংবাদিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কালীগঞ্জে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজারো মুসল্লীর সমবেত দোয়া শুধু বিএনপির নয় বেগম জিয়া দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের নেত্রী- সাইফুল ইসলাম ফিরোজ লোহাগাড়ায় যানজট নিরসনে প্রশস্ত হচ্ছে সড়ক। সন্ত্রাসীরা‎ দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলি করে হত্যা করেছে মির্জাপুরের প্রবাসী ব্যাবসায়ী আমিনুল ইসলামকে সচ্ছলতার স্বপ্ন অধরাই,দুবাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন শান্তিগঞ্জের শিপন মিয়া সোনারগাঁও সরকারি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ক্যারিয়ার গাইডলাইন সফল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব (B.C.P.C)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান সেলিম রহমানের শ্বশুরের ভোলায় দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। আখাউড়া মুক্ত দিবসে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি: স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয় র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অনলাইন সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মনপুরায় অবৈধ স-মিলের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে, পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা স্থানীয়দের

মোঃ শাকিল খান রাজুসিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

ভোলার মনপুরা উপজেলায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স-মিল। কোনোরূপ নিয়মনীতি মানা ছাড়াই এসব করাত কল প্রতিদিন কেটে ফেলছে বনজ, ফলদসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। দিন-রাত সবসময় সচল থাকা এসব স-মিল শুধু পরিবেশের জন্যই নয়, আশপাশের বাড়ির বসবাসকারীদের জন্যও চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। বহু অভিযোগ সত্ত্বেও অবৈধ স-মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় ৫০টিরও বেশি স-মিল। অধিকাংশই লাইসেন্সবিহীনভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সরকারের বিধি-বিধান থাকলেও বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। প্রশাসনের ‘দেখেও না দেখার’ মনোভাবের সুযোগে স-মিল মালিকরা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করছে তাদের ব্যবসা। অনেক স-মিল সড়কের ঠিক পাশেই স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে হাজার হাজার কাটা গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকে দীর্ঘদিন। এতে সড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের মূল সড়কের মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। যার ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বন ও পরিবেশ বিভাগের কার্যকর তদারকি না থাকায় রাস্তার ধারে, স্কুল, বাজার ও লোকালয়ের মধ্যেই অবাধে স্থাপিত হচ্ছে এসব স-মিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের মনপুরা দ্বীপজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এসব অবৈধ স-মিল। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা এবং দুর্বল মনিটরিংয়ের সুযোগে স-মিলগুলো ফুলেফেঁপে উঠেছে। ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থিত শরিফ পাটোয়ারী স-মিলের মালিক শরিফ পাটোয়ারী দাবি করেন, “আমার স-মিলের ট্রেড লাইসেন্স আছে। আমরা কোনো অবৈধ গাছ কাটিনা। মনপুরায় বর্তমানে ৫০টির বেশি স-মিল রয়েছে এর মধ্যে শুধু হাজীরহাট বাজার এলাকায় চলমান রয়েছে দুইটি স-মিল। এছাড়া বাংলাবাজার সংলগ্ন সড়কের পাশেও রয়েছে আরও দুইটি। পাশাপাশি রামনেওয়াজ, চৌধুরী বাজার, চৌমুহনী, ফকিরহাট, ভূইয়ার হাট, আনন্দ বাজার, মাস্টার হাট, সিরাজগঞ্জ বাজার, কোড়ালিয়া বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার, স্কুল-মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকাতেই গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ স-মিল। যদিও স-মিল স্থাপন বিধিতে স্পষ্ট বলা আছে সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা, জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপন করা যাবে না। সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সকাল ৬টার আগে ও সন্ধ্যা ৬টার পর স-মিল চালানো যাবে না। যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি প্রদান করে লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু মনপুরায় এসব আইন-বিধিনিষেধের কোনোটিই মানা হচ্ছে না। বিধি উপেক্ষা করে একাংশ স-মিল মালিক রমরমা অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স-মিল মালিক জানান, লাইসেন্স ছাড়াই তো চলতেই পারছি। তাই লাইসেন্স করার দরকার কী! আবার লাইসেন্স করতে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, অবৈধভাবে গাছ কাটা এবং অপরিকল্পিতভাবে স-মিল স্থাপন পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। তাই দ্রুত সব অবৈধ স-মিল অপসারণ, সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা