রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুনের মামলার দুই আসামি গ্রেফতার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা হাসপাতাল এখন রোল মডেল বরগুনা-১ আসনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত এ্যাড. মোঃ রেজবুল কবির…! নবীনগরে পুকুর থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্বার আগামীতে শহীদ জিয়ার দল বিএনপিই সরকার গঠন করবে – জনসভায় এস এ সিদ্দিক সাজু শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালপুরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় নদী ভাঙনে সড়ক বিলীন হওয়ার শঙ্কায় মানববন্ধন বিজিএমইএ ও স্ট্যানলি স্টেলার বৈঠক: টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অঙ্গীকার রাঙ্গাবালীতে দশ দিনব্যাপী আনসার-বিডিপি প্রশিক্ষণ চলছে বগুড়ায় মাদক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এএসপির সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা

ভাঙনের থাবায় গলাচিপার পাকা সড়ক নদীগর্ভে, যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকিতে

খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুসুরি কাঠি গ্রামের ভেরী বাঁধের পাকা রাস্তা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। প্রায় দুই বছর আগে এ ভাঙন শুরু হয় এবং জাতীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তখন এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তারা জানায়, আরও ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙন রয়েছে—সেগুলো আগে সামলাতে হবে। কিন্তু এ ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমানে আমখোলা বাজারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রায় এক চতুর্থাংশ কিলোমিটার রাস্তার অর্ধেক অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে। এতে বাস, ট্রাকসহ সকল যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। এ সড়কটি গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র পথ হওয়ায় যেকোনো সময় পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।

নদী পাড়ে বসবাসরত মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক। শুধু তাই নয়, বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া বা ঘুর্নিঝড় দেখা দিলে পুরো রাস্তাটি ভেঙে গেলে ফসলি জমি, মানুষের বসতি ও গবাদি পশুর জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এ নিয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছে, ভাঙন রোধে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নদীর তলদেশের মাটি সরে গেলে কেবল উপরের গাইড ওয়াল দিয়ে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। এভাবে ভুল পরিকল্পনা গ্রহণের কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকা পানিতে ভেসে যাচ্ছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ পরিকল্পনা না করে কেন গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলো?

সাধারণ মানুষের দাবি, বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিৎ। অন্যথায় পুরো সড়ক বিলীন হয়ে গেলে গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়বে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতির সব খাত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা