বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যশোরের সতীঘাটা এলাকায় কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ চট্টগ্রামে লায়ন্স ক্লাবগুলোর যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী মানবসেবামূলক কার্যক্রম। ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৪২ জন। শিশুরা হলো মানব চারা- লক্ষ্মীপুরে জেলাপ্রশাসক এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু গণ পাঠাগারের উদ্যোগে মেধা বৃত্তি ২০২৫-এর ফরম বিতরণ শুরু উন্নত,ন্যায়ভিত্তিক ও মাদকমুক্ত সোনারগাঁ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ , প্রিন্সিপাল ড.মো.ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভূমিহীনদের নামে সরকারি বরাদ্দ হওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় সৈয়দ হাসানুজ্জামান লোটন নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আনন্দবাজার ও পুরাতন বাঁশ বাজারের ইজারা বাতিলের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ চুয়াডাঙ্গায় গিরিশনগরে ডিবি পুলিশের অভিযানে দুষ্টু পাতা (গাঁজা)সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার আসসালামু আলাইকুম এই পোস্টটি লিখতেছি খুবই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে,,

নীলফামারীর ওয়ালীউল্লাহ অলি বিশ্ব হ্যান্ডরাইটিং চ্যাম্পিয়ন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গৌরব

মো: মেরাজুল ইসলাম, রংপুর প্রতিনিধি :

বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান মো: ওয়ালীউল্লাহ অলি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে তিনি ১৭ অক্টোবর ২০২৫-এ “World Handwriting Contest 2025”-এর চ্যাম্পিয়নের মুকুট জয় করেছেন।

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গের গাড়ি গ্রামের সন্তান মো: ওয়ালীউল্লাহ অলি বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের সাতগাড়া, রংপুর শাখায় সিনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। শৈশব থেকেই তাঁর হাতের লেখা ছিল অনন্য। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টানা হাতের লেখার উৎকর্ষতার জন্য একাধিকবার বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

ওয়ালীউল্লাহ অলি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি। নিজের আগ্রহ, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি হাতের লেখাকে শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সবসময় অনুকরণপ্রিয়। কারো সুন্দর লেখা চোখে পড়লেই তা অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। আমার বড় ভাই মিলু ভাইয়ের হাতের লেখা ছিল আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।”

২০২২ সালে “World Handwriting Contest”-এর একটি বিজ্ঞাপন চোখে পড়ার পর তিনি আবারও নিয়মিত লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। এরপর বিশ্বের খ্যাতনামা হ্যান্ডরাইটিং চ্যাম্পিয়নদের লেখা সংগ্রহ করে অধ্যয়ন ও অনুশীলন শুরু করেন। নিজের লেখা তিনি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁর লেখা সেরাদের চেয়ে এগিয়ে থাকত।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, কম্পিটিশনের বিজ্ঞাপন প্রতিবছর এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়, লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ থাকে ৩০ জুন, এবং বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় অক্টোবরের ১৫ তারিখে। ওয়ালীউল্লাহ অলির চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটেছে।

ওয়ালীউল্লাহ অলি বলেন, “এই সাফল্য শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি বাংলাদেশের গর্ব। আমি চাই, আমার এই অর্জন দেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাক—তারা যেন বিশ্বাস করে, অধ্যবসায় ও পরিশ্রম থাকলে অসম্ভবও সম্ভব।”

প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত “World Handwriting Contest”-এ বিশ্বের শতাধিক দেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। এবারের আসরে বাংলাদেশের এই কৃতিসন্তান দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন এবং বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিভার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় বা অনলাইন উৎস থেকে আগ্রহীরা “World Handwriting Competition” লিখে গুগলে সার্চ করলে বিস্তারিত তথ্য সহজেই জানতে পারেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা