সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নবীনগরে এক আর্দশ শিক্ষিকা কে  অবসর জনিত রাজকীয়  বিধায় সংবর্ধনা, যারা সত্যিকারের শিক্ষক, তাহারা কখনো।বিদায় নেন না, তাঁরা মিশে থাকেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর চিন্তা – চেতনায়, এই শ্লোগান কে সামনে রেখে- চুয়াডাঙ্গা জেলা দর্শনায় পুলিশের অভিযানে গাঁজা ও ডিজিটাল মাপযন্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার ঝিনাইদহে ভয়ঙ্কর রহস্য! তালাবদ্ধ ফার্নিচার দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হলো গৃহবধূর মৃতদেহ, ‘খুনি’ স্বামী লাল মিয়া কোথায়? বগুড়ার শেরপুরে তিনজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি — মহিলা মেম্বারের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, জনতার হাতে এক অপহরণকারী আটক প্রথম দিনেই টাইফয়েড টিকা পেল ১০ লাখ শিশু মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপনে সাংবাদিক নেতা খান সেলিম রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান পল্লবী থানা এলাকায় টানা অভিযানে মাদক সাম্রাজ্যের পতন *লক্ষ্মীপুরে রুসুল গঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ* রাজশাহীতে দুটি ট্রাকের ১০ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ নীলফামারীতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের স্মারকলিপি

খুনের মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

মুহাম্মদ আজিজুর রহমান খান

নেত্রকোনা জেলা বিশেষ প্রতিনিধি

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে হত্যার কারণে থানায় মামলা হয়েছে। কাকৈরগড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের মৃত জাহের আলীর ছেলে সাইদুল কে হত্যা করা হয় । এ ঘটনায় সাইদুলের চাচা মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

হত্যা মামলার আসামীরা হলেন, দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে আব্দুল রাশিদ, শহীদ মিয়া, শান্তিপুর গ্রামের মৃত জয়নাল মিয়ার ছেলে জিয়া,একই গ্রামের জিয়ার ছেলে মো. ইয়াছিন, লক্ষীপুর গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে আব্দুস ছামাদ, লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুস ছামাদের স্ত্রী রাবিয়া আক্তার। এ ঘটনায় মামলার আসামি ২ জনকে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় জানায় মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলার আসামিদের সাথে সাইদুলের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন যাবত। ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় সাইদুল দক্ষিণ লক্ষীপুর নিজ এলাকায় নিজ জমিতে কাজ করছিল,সাথে ছিল মামলার বাদী সাইদুলের চাচা মোস্তাফিজুর রহমানও।তখন হঠাৎ করেই মামলার আসামীগনেরা পূর্ব শত্রুতার কারণে প্রত্যেকের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে সাইদুলের কাছে গিয়ে অশালীন ভাষায় বকাবকি করতে থাকে এবং আব্দুস ছামাদ সাইদুলকে খুন করার হুমকিও দেয় তখন ।
একপর্যায়ে আসামিদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইদুলের মাথায় আঘাত করে। এ সময় সাইদুল মাটিতে পড়ে যায় বাকিরা যার যার হাতে থাকা লাঠি সোটা দিয়ে শরীরের বেড়ধক আঘাত করে মারাত্মক জখম করে সাইদুলকে। এ সময়ব মোস্তাফিজুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয় এবং মোস্তাফিজুর দৌড়ে পালিয়ে যায় । মোস্তাফিজুর চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এসে সাইদুলকে উদ্ধার করে।স্থানীয়দের সহযোগিতায় আত্নীয় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাইদুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়ার পরে চিকিৎসকেরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সাইদুলকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিক্যালে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইদুলের মৃত্যু হয় ।

৯ সেপ্টেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান ৬ জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মোস্তাফিজুর রহমান দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান আদালতের কাছে ।

দুর্গাপুর থানা জানায় যে, হত্যা মামলার দুই আসামি জিয়া ও ইয়াসিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের ধরার জন্য চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা