শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মিরপুরে গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আগুন মিরপুরে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ওসি সাজ্জাদ হোসেন রোমনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান টাঙ্গাইলের গোপালপুরে কৃষকনেতা হাতেম আলী খানের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত। ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুক্তাগাছায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া নতুন দলগুলো নিয়ে জোট হবে: এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের উপর আস্থা রাখুন: মহিলা সমাবেশে-সাইফুল ইসলাম ফিরোজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ সম্মাননা পেলেন শহিদুল ইসলাম (সোহেল) নতুন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পুরনো মুখ – গণতন্ত্রের চেতনায় শঙ্কা বিএনপি নেতাদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোহাম্মদপুরে শ্রমিক দলের দোয়া মাহফিল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আশরাফ হোসেন আলীমের ৩১দফা লিফলেট বিতরণ।

সমান শ্রমেও পুরুষের তুলনায় নারীরা পান অর্ধেক পারিশ্রমিক

আশীষ বিশ্বাস

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

 

বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ নারী। তাই জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশত নারীর উন্নয়ন। সকল ক্ষেত্রে নারীর সমসুযোগ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একান্ত অপরিহার্য। নারীরা গৃহস্থালী কাজের বাইরে ও কৃষিতে অগ্রদূত হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছেন। নারীরা আমাদের কৃষি, সমাজ, সংসারকে মহিমান্বিত করেন। কষ্টগাঁথা আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীদের অবদান অপরিসীম।

ঠিক তেমনই নীলফামারীর জলঢাকায় কৃষি ও উন্নয়ন কাজে নারীদের অবদান এক অনবদ্য অধ্যায়।জলঢাকা উপজেলায় নারীরা কৃষি কাজে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। উপজেলার দারিদ্র ও অসহায় পরিবারের নারীরা অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকেন। এই নারীরা পুরুষের সমপরিমাণ কাজ করলেও মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন বিভিন্ন সময়।

উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া এলাকার নারী শ্রমিক তাহেরা বলেন, ‘আমরা গরীব আমাদের কোনো জমি না থাকায় অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করি। কৃষিকাজই আমাদের পেশা। কিন্তু জলঢাকায় কৃষি কাজে ও উন্নয়নে নারীরা ভালো কাজ করলেও পুরুষদের তুলনায় নারী শ্রমিকরা কম মজুরি কম পান। একজন পুরুষ যেখানে দিনে কাজ করে ৪০০ টাকা মজুরি হলেও শ্রম সমান করেও নারী শ্রমিকরা পান ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়ন চরভরট পাড়ার নারী শ্রমিক রানী বলেন, ‘আমরা জমিতে ধান লাগানো, আগাছা পরিষ্কার, ধান কাটা মাড়াইসহ সকল কাজ পুরুষদের সমান করলেও মজুরি কম পাই।’

শৌলমারী ইউনিয়নের বানপাড়া এলাকার নারী শ্রমিক মায়া বলেন, ‘জমিতে ধান রোপণ ও কাটা মাড়াইসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। জমিতে কাজে গেলে রোদ, বৃষ্টি মাথার উপর দিয়ে যায়। কিন্তু সে তুলনায় আমাদের অসুখ-বিসুখ খুব কম। আমরা সহজেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে কৃষি কাজ করে থাকি।’

কৈমারী ইউনিয়নের বাধ এলাকার নারী শ্রমিক রাহেলা বলেন, ‘নারীদের কারণে হাজার হাজার একর জমিতে বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। যা এ এলাকার খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন।’

গাবরোল টগরার ডাঙ্গা এলাকার পুরুষ শ্রমিক সোবহান বলেন, ‘এ অঞ্চলের কৃষি কাজে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।’

কনক বলেন, ‘নারী শ্রমিকরা সংসারের পাশাপাশি কৃষি কাজে অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন। অন্যের জমিতে কাজ করার পাশাপাশি নিজেরা ফসল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।’

এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন এলাকার নারীরা বলেন, এ অঞ্চলের জঙ্গল পরিষ্কার করে সব জমিকে ফসলি জমিতে পরিণত করেছেন। সেই জমিতে ধানসহ সকল ফসল উৎপাদনে নারী শ্রমিকদের অবদান রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

নারীদের কৃষি শ্রমিক হিসেবে সাংবাধানিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদানসহ নায্য মজুরি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা