খন্দকার জলিল, স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. মোকলেছুর রহমান খোকনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গলাচিপা-দশমিনা সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান মামুন।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের সময় গলাচিপা পৌরসভার নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যা ও অসংখ্য আত্মীয়স্বজনসহ রাজনৈতিক সহযোদ্ধা রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গলাচিপা উপজেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে আইনজীবী সমাজ পর্যন্ত সর্বত্রই শোকের আবহ বিরাজ করছে। সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, তিনি ছিলেন একজন ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করা সাহসী, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ মানুষ।
শোকবার্তায় হাসান মামুন বলেন, “এ্যাডভোকেট খোকন ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা একজন আদর্শবান নেতা ও ন্যায়ের সৈনিককে হারালাম। তার এই অকাল মৃত্যুতে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবে না। তিনি দলের দুঃসময়ে রাজপথে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন, দলের আদর্শ ও কর্মীদের পাশে থেকেছেন। আইন অঙ্গনে তার সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতা ছিল অনুকরণীয়।”
তিনি আরও বলেন, “খোকন ভাই কেবল রাজনীতির মানুষ ছিলেন না, ছিলেন মানবতার প্রতীক। মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ও সহমর্মিতা আজও আমাদের চোখে জল এনে দেয়। তার মতো নিবেদিত মানুষকে হারানো আমাদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
তার মৃত্যুতে গলাচিপা উপজেলা বিএনপি, আইনজীবী সমাজ এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে গভীর শোক নেমে এসেছে। অনেকেই জানান, তিনি ছিলেন এমন এক মানুষ যিনি সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন। তার প্রস্থান গলাচিপার রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। গলাচিপা এখন শোকাভিভূত। সর্বস্তরের মানুষ মরহুম এ্যাডভোকেট মোকলেছুর রহমান খোকনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।