নুরুল হোসাইন, প্রতিবেদক:
টেকনাফ শুধু ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত টেকনাফ উপজেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত এই স্থানটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সর্বশেষ সীমানা এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকা। নাফ নদী টেকনাফের অন্যতম আকর্ষণ, যা দুই দেশের মধ্যকার প্রাকৃতিক সীমারেখা তৈরি করেছে। নদীটির নীল জল, ঢেউয়ের কলতান ও সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
টেকনাফের আরও একটি বড় পরিচিতি হলো এটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়ার প্রবেশদ্বার। এখান থেকে প্রতিদিন জাহাজ ও ট্রলারে হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যাত্রা করেন। তাই টেকনাফকে বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বলা যায়।
এ এলাকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। এখানে বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী যেমন হাতি, হরিণ, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসবাস করে। অভয়ারণ্যের সবুজ পাহাড় ও বনভূমি প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
এছাড়া টেকনাফে রয়েছে নাফ নদীর সীমান্তবাজার, যেখানে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমিত বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এটি স্থানীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পাহাড়, নদী, সাগর ও বনভূমির এক অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অনন্য আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে।
সব মিলিয়ে টেকনাফ শুধু ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এর অপরূপ প্রাকৃতিক রূপ, নদী, পাহাড় ও বন্যপ্রাণীর সমাহার টেকনাফকে করেছে বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত পর্যটন এলাকা।।