মো:মিল্টন হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পরিবেশ ছিল উৎসবমুখর। নারী জাগরণ ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার এ বিশেষ দিনে বিভিন্ন প্রতিকূলতা জয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা ৫ জন অদম্য নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, নারী নেত্রী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সম্মাননা পাওয়া নারীরা জীবনের নানা বাধা—দারিদ্র্য, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, শারীরিক সমস্যা ও পারিবারিক প্রতিকূলতাকে জয় করে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন—
“নারীর শক্তি ও সৃজনশীলতা সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। শৈলকুপার এই অদম্য নারীরা আমাদের অনুপ্রেরণা।” আলোচনা সভায় গুরুত্ব পায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ
বক্তারা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের আদর্শ তুলে ধরে নারীর শিক্ষা, স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেন। তারা বলেন—বেগম রোকেয়া শুধু একজন নারী লেখকই নন, তিনি ছিলেন নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ।
এ সময় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পরিবার, সমাজ ও প্রশাসনের যৌথ ভূমিকার কথাও তুলে ধরা হয়।
সম্মাননা গ্রহণ করতে গিয়ে অদম্য নারীরা জানান— “আমাদের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমরা আরও শক্তি পেলাম। সমাজে নিজের জায়গা করে নিতে এই সম্মাননা আমাদের প্রেরণা।”
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে নারী জাগরণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজ পরিবর্তন নিয়ে পরিবেশিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন— “নারীকে পিছিয়ে রেখে কোনো সমাজ এগোতে পারে না। অদম্য নারীরা প্রমাণ করেছেন—ইচ্ছাশক্তি থাকলে বাধা কোনো বাধাই নয়।”
শৈলকুপায় বেগম রোকেয়া দিবসের এ আয়োজন নারীর অগ্রগতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নতুন উদ্দীপনা যোগ করল।