মোঃ বাবুল স্টাফ রিপোর্টার
১। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০৫ জুন ২০২৫খ্রি. সকাল ১০:০০ ঘটিকায় ধৃত আসামী ফয়সাল মিয়া (৩০) বাদীর নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তুলে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাস্তার পাশের কয়েকজন দোকানদার দেখতে পেয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও সিএনজি থামাতে পারে নাই। বাদী তার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তৎপর হয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নেয়ার পর জানতে পারেন ধৃত আসামী ফয়সাল মিয়া (৩০) বাদীর নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে আসামীর বাড়িতে অবস্থান করছে। ধৃত আসামী ভিকটিমকে তার বাড়িতে আটকে রেখে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, নেত্রকোনায় পিটিশন মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানায় মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং-০৪, তারিখ-০৩/০৭/২৫, ধারা-৭/৯(১)/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২৫)। মামলা রুজুর পর সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে তৎপর হয়।
২। এরই প্রেক্ষিতে, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ আভিযানিক দল সিপিএসি, র্যাব-৫,রাজশাহী ক্যাম্পের সহযোগীতায় ০৩ আগষ্ট ২০২৫ খ্রি. ভোর অনুমান ০৪:০০ ঘটিকায় রাজশাহী জেলার পুটিয়া থানাধীন হোজারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার অপহরন করত: ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং আসামী ফয়সাল মিয়া (৩০), জেলা-রাজশাহীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নাবালিকা ভিকটিমকে নিরাপদ হেফাজতে নেয়ার জন্য নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।