খন্দকার জলিল, পটুয়াখালী জেলা ব্যুরো প্রধান আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর থেকেই ঢাকার আকাশে ঘন মেঘের আনাগোনা দেখা গেলেও বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই শুরু হয় প্রচন্ড বৃষ্টি। অল্প সময়ের মধ্যেই বৃষ্টিপাত রূপ নেয় বজ্রসহ প্রবল বর্ষণে। টানা কয়েক ঘণ্টার এই বৃষ্টিতে রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক, গলিপথ ও নিচু এলাকা তলিয়ে যায় হাটু পানিতে। হঠাৎ নেমে আসা বৃষ্টিতে কর্মজীবী মানুষ, অফিসগামী, ফুটপাতের দোকানি ও রিকশাচালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। সড়কে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, কোথাও কোথাও রিকশা চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। ফুটপাতের দোকানগুলোতে পানি ঢুকে যায়, অনেকেই বৃষ্টির ভেতরেই নিজেদের পণ্য রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজের তাগিদে বহু নারী-পুরুষকে ভিজে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। একাধিক এলাকাবাসী জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই ঢাকায় পানি জমে যাওয়া এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। রাত ৮টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করে এবং আকাশে মেঘের ঘনত্বও কমে আসে। তবে তখনও অনেক এলাকায় পানি সরেনি, যার ফলে জনভোগান্তি থেকে যায় রাত পর্যন্ত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘আঁখি’-এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আগামীকাল (রবিবার) থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নগর পরিকল্পনায় সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বর্ষণেই রাজধানীতে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে, যা দিনদিন নগরবাসীর জন্য বড় এক দুর্ভোগে পরিণত হচ্ছে।